Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কী পেলাম, কী পেলাম না, সে হিসেব কখনো মিলাই না: প্রধানমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারী ২০২০, ০৯:২১ PM
আপডেট: ১৫ জানুয়ারী ২০২০, ০৯:২১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এটা যে করে যেতে পারছি, এটা যে কত বড় পাওয়া আমাদের কাছে (আমি ও রেহানা) সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’

বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহর এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের মাধ্যমে তার সরকার বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শকে বাংলাদেশ ও বিশ্বের জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চায়।

তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় এই আয়োজন আন্তর্জাতিক রূপ লাভ করেছে এবং অনন্য মাত্রায় উন্নীত হয়েছে।’

ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী এ সময় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইউনেস্কোর তত্ত্বাবধানে এখন সমগ্র বিশ্ব ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করবে।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনের মাধ্যমে তার সুদীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস, বাঙালি জাতির জন্য তার সুমহান আত্মত্যাগ এবং তার সুদীর্ঘ কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবন বিশ্ববাসীর মাঝে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য বিরল সম্মানের।’

সরকার দলীয় সাংসদ শহীদুজ্জামান সেলিমের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী টানা তৃতীয়বারসহ মোট চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করাতেই জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদযাপনের সুযোগ পেয়েছেন উল্লেখ করে মহান রাব্বুল আলামিন এবং দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘সরকার গঠন করে উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পরম সৌভাগ্য যে, ২০২০ সালে আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সুযোগ পেয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছয় বছর শরণার্থী হিসেবে বিদেশে কাটাবার পর এক বুক বেদনা নিয়ে বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছিলাম। বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য আমার বাবা বঙ্গবন্ধু যে ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন সেই জনগণের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল আমার লক্ষ্য।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে গিয়ে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি, সরকার গঠন করেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কী পেলাম, কী পেলাম না। সে হিসেব আমি কখনো মিলাই না। কী মর্যাদা পেয়েছি সেটা নিয়েও আমার চিন্তা নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমার চিন্তা একটাই দেশের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, মানুষকে কী দিতে পারলাম। কারণ, এই মানুষগুলোর জন্যই আমার পিতা জীবন দিয়ে গেছেন।’

Bootstrap Image Preview