Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মাতালকে ছেড়ে দিতে পুলিশের অনুরোধে বিব্রত ঢাবি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী ২০২০, ০৭:০৭ PM
আপডেট: ১২ জানুয়ারী ২০২০, ০৭:০৭ PM

bdmorning Image Preview


মদ্যপ অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গাড়ি চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করায় দুইজন বহিরাগতকে থানায় দেয়া হয়েছিল। তবে তাদেরকে ছেড়ে দিতে সেই থানারই এক পুলিশ কর্মকর্তা তদবির করায় বিব্রত বিশ্ববিদ‌্যালয়ের প্রক্টর।

শাহবাগ থানার এসআই নিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. গোলাম রব্বানী।

ড. গোলাম রব্বানীর অভিযোগ, ‘মদ্যপ অবস্থায় শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্ত্বরের সামনে বহিরাগত দুইজন গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটান। এতে কয়েকজন আহত হন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের আটক করে আমাকে জানান। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি মদ্যপ দুজনকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দিই এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করি। কিন্তু ওই সময় থানার এসআই এইচ এ কে এম নিয়াজ উদ্দীন তাদের না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হাতে তুলে দিয়ে যান।

প্রক্টর আরো জানান, ‘পরবর্তীতে আবার এসআইকে বললে তিনি ওই দুইজনকে নিয়ে যান। পরে রাতে কয়েকবার আমাকে ওই এসআই এসএমএস দিয়ে তাদের ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। রাত ৩টায় আমাকে ফোনে বলেন, অভিযুক্তদের বাবা মা থানায় এসে অনুরোধ করছেন, যেন তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’

প্রক্টর বলেন, তারা দৃশ্যমান দুইটি অপরাধ করেছে। এক মদ্যপ হয়ে গাড়ি চালিয়েছে, অন্যটি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মানুষজনকে আহত করেছে। এছাড়া চালকের গাড়ির লাইসেন্স আছে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ থাকায় পুলিশকে বলেছি খোঁজ নিতে। কিন্তু এসাআই নিয়াজ তাদের ছেড়ে দিতে রাতে আমাকে কয়েকবার এসএমএস ও ফোন দিয়েছে। তার কর্মকাণ্ড কর্তব্যে অবহেলা বলে আমি মনে করি। "

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আতাত করে বহিরাগত দুই মদ্যপকে তাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া ও আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়ার পরও বার বার অনুরোধ জানানোতে আমরা বিব্রত হয়েছি। এ বিষয়ে আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের কাছে অভিযোগ করব।’

অভিযোগের ব্যাপারে উপ পরিদর্শক এইচ এ কে এম নিয়াজ উদ্দীন বলেন, দুই ছেলের বাবা-মা এসে অনুরোধ করায় প্রক্টর স্যারকে ফোন দিয়েছি। পরে তাদেরকে রোববার সকালে আদালতে চালান করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview