বিশ্বকাপের পর দীর্ঘ বিরতি। এরপর বঙ্গবন্ধু বিপিএল দিয়ে ফিরেছেন ২২ গজে। প্লেয়ার ড্রাফটে প্রায় অবিক্রিতই ছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত ঢাকা প্লাটুনে জায়গা করে নেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে সফলতম অধিনায়ককে রাজধানীর দলটির দলনেতা হিসেবেও দায়িত্ব দেয়া হয়। শেষ পর্যন্ত তার অধীনেই প্লে-অফ নিশ্চিত করে ঢাকা। শনিবার রাতে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল মাশরাফির দল। ম্যাচ চলাকালে ফিল্ডিংয়ের সময় গুরুতর আহত হয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে খুলনার বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েও শেষ রক্ষা হয়নি ঢাকার। ২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে মুশফিকুর রহিমের খুলনা। টাইগার্সদের ইনিংসের ১১তম ওভারে বল করছিলেন মেহেদি হাসান। দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটসম্যান রাইলি রুশোর শট ঠেকাতে গিয়ে এক্সট্রা কাভার অঞ্চলে থাকা মাশরাফি শূনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বুলেট গতির শটটি ক্যাচ ধরতে না পারলেও বাম-হাতের তালুতে লেগে নিশ্চিত চার ঠেকিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে হাত থেকে রক্ত ঝরলে দ্রুত মাঠ ত্যাগ করতে হয় ঢাকার অধিনায়ককে।
ঢাকা প্লাটুন টিম ম্যানেজার আহসানউল্লাহ হাসান জানান, হাসপাতালে নেয়া হলে বাম-হাতের তালুতে ১৪টি সেলাই করেন দায়িত্বরত চিকিৎসকরা। বিশ্রামে থাকতে বলা হয় ডান-হাতি এই পেসারকে।
এদিকে বিসিবির চিকিৎসক ডাক্তার দেবাশিষ চৌধুরী জানান, মাশরাফির খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। অন্যদিকে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের উইকেট রক্ষক-ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয় বলেন, তিনি (মাশরাফি) এখনও আশা ছাড়েননি। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে এলিমিনেটরের ম্যাচটা খেলতে চাইছেন।
শেষ পর্যন্ত বিজয়ের কথাটাই বোধহয় সত্যি হতে চলল! মাশরাফি গেল রাতে ফিরে গেছেন টিম হোটেলে। প্রস্তুত হচ্ছেন চট্টগ্রামের বিপক্ষে ম্যাচটা খেলার।
এদিকে মাশরাফির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের বিপক্ষে ম্যাচে খেলবেন তিনি। দলের প্রয়োজনে বোলিংও করবেন। যদিও চিকিৎসক ও টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে এখনও বিষয়টি স্পষ্ট করা হচ্ছে না।