বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের প্রভাবশালী কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহতের ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
এক বিবৃতিতে এই হত্যাকাণ্ডকে জিহাদের স্বার্থে ‘ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে আইএস। যদিও বিবৃতির কোথাও তারা যুক্তরাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করেনি বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।
এদিকে জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান স্থগিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা ঘোষণা করেছে, এখন তাদের প্রধান কাজ হচ্ছে নিজেদের রক্ষা করা।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে এই সিদ্ধান্তের কোনো বিকল্প ছিল না তাদের হাতে। এরইমধ্যে ইরান ও ইরাকে ইরান সমর্থনপুষ্ট মিলিশিয়া বাহিনীগুলো সোলেইমানির গাড়িবহরে হামলায় নিহতদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার বিষয়ে শপথ নিয়েছে। যার ফলে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ও এর মিত্র পশ্চিমা জোটের সেনাদের বিপদের মুখে ফেলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই পরিস্থিতিতে লাভ হয়েছে আইএসের। তাদের জন্য খুবই ভালো হয়েছে, যারা এখন তাদের খেলাফত হারানোর আঘাত থেকে ফিরে নিজেদের অবস্থান পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করতে পারবে।
এছাড়া আইএসের জন্য আরও বড় সুখবর হলো, মার্কিন সেনাদের অতিসত্ত্বর দেশ ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে ইরাকের পার্লামেন্ট।
এর আগে ২ জানুয়ারি মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরান ও যথাক্রমে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। যার পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে পাল্টা আক্রমণ চালায় ইরান। যে আক্রমণে ৮০ জন মার্কিন সেনা নিহত ও ২২৪ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করছে ইরান। তবে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের কোনো সেনার প্রাণহানি হয়নি।