Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

খালেদা জিয়া অস্ত্র দিয়েছিলেন, আমি দিয়েছি খাতা-কলম: প্রধানমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ জানুয়ারী ২০২০, ০৮:১৯ PM
আপডেট: ০৪ জানুয়ারী ২০২০, ০৮:১৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া ছাত্রদের অস্ত্র দিয়েছিলেন, আমি দিয়েছি খাতা–কলম। এ সংগঠন গড়ে তুলেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছাত্রলীগের যে ঐতিহ্য, তা মনে রাখতে হবে। মনে রেখেই একজন কর্মী হিসেবে আচার–আচরণ করা উচিত। এমন নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে, যাতে দেশ ও জাতির বিশ্বাস অর্জন করে চলতে পারে।

শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। আদর্শ নিয়ে, নীতি নিয়ে ছাত্রলীগকে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু-কন্যা বলেন, জাতির পিতা যে আদর্শ নিয়ে সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন, সেই আদর্শ ধারণ করতে হবে। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু, সেই আদর্শকে ধারণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘বাঙালির প্রতিটি অর্জনে ছাত্রলীগের বড় ভূমিকা আছে। শহীদদের তালিকা যদি করি, তাহলে সেখানেও আছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। জাতির যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ারা মেধাবী ছাত্রদের ব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার কাজে লাগিয়েছেন ছাত্রজীবনকে। আদর্শ, সতত ছাড়া নেতৃত্ব গড়ে উঠতে পারে না। বঙ্গবন্ধু কখনো অর্থ-সম্পদের দিকে তাকাননি। সারা জীবন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে রাজনীতি করেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল আইয়ুব খান ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ওই আইয়ুবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন। জিয়াউর রহমান অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট করে দিয়েছেন। সাত খুনের আসামিকে, যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন।

বেলা আড়াইটায় শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তখন স্লোগান দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। উত্তরীয় পরিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেন ছাত্রলীগের নেতারা। পরে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়। এরপর বাজানো হয় দেশাত্মবোধক গান।

এদিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থেকে পূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন আল নাহিয়ান খান জয় এবং লেখক লেখক ভট্টাচার্য। শনিবার বিকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনীতে এ ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছাত্রলীগ বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে, তাই নেত্রী আপনি এটিকে ভারমুক্ত করে দিবেন।

Bootstrap Image Preview