Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:১৩ PM
আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:১৬ PM

bdmorning Image Preview


রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ প্রকল্পের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার সকাল সোয়া ১০টায় তিনি এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

একই দিনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নতুন দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯ সিরিজের ড্রিমলাইনার ‘অচিন পাখি’ ও ‘সোনার তরীর’ বাণিজ্যিক কার্যক্রমেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন শেখ হাসিনা। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী উড়োজাহাজে আরোহণ করেন এবং ককপিটসহ বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বিমানের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ইনামুল বারি, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান, বিমান সচিব মহিবুল হক, বিমানের এমডি মোকাব্বের হোসেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার প্রমুখ।

জানা গেছে, শাহজালালে নতুন টার্মিনাল স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নে ২১ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে পাওয়া যাবে পাঁচ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) থেকে পাওয়া যাবে। টামির্নাল নির্মিত হওয়ার পর শাহজালাল হবে এই অঞ্চলের মধ্যে সর্বাধুনিক বিমানন্দর। এটি নির্মিত হলে বছরে আরও অতিরিক্ত ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবে।

নতুন আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনালটি হবে ২২ দশমিক ৫ লাখ বর্গফুটের। বর্তমানে দুটি টার্মিনালে ১০ লাখ বর্গফুট স্পেস রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিমানবন্দরের বর্তমান যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৮০ লাখ থেকে বেড়ে দুই কোটি হবে এবং কার্গোর ধারণ ক্ষমতা বর্তমান দুই লাখ টন থেকে বেড়ে পাঁচ লাখ টন হবে।

বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক জানান, একটি একক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরের মাধ্যমে নতুন টার্মিনালটির সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব হবে। সরকার নতুন টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং টাস্কের জন্য একটি দক্ষ কোম্পানি মনোনীত করতে দরপত্র উন্মুক্ত করে দেবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‌‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা কিছু ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছি। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ। তার দিক-নির্দেশনায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। তিনি যেভাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দরের উন্নয়নে চেষ্টা করেন, তা আমাদের অনুপ্রাণিত করে।’

এদিকে, গত সেপ্টেম্বরে চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানের জন্য আরও নতুন দুটি ড্রিমলাইনার কেনার ঘোষণা দেন। অত্যাধুনিক এই উড়োজাহাজ দুটি যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো ছয়টিতে।

এর আগে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ বিমানের বহরে ড্রিমলাইনারের ‘আকাশবীণা’ ও ‘হংসবলাকা’ এবং চলতি বছরে যুক্ত হয় ‘গাঙচিল’ ও ’রাজহংস’।

বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উড়োজাহাজ দুটি দিয়ে ৫ জানুয়ারি থেকে ম্যানচেস্টার ও লন্ডন রুটে বিমানের ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে। এরই মধ্যে ম্যানচেস্টার রুটের উদ্বোধনী ফ্লাইটের প্রায় সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

যদিও উদ্বোধনের আগে সোনার তরীর কিছুটা ত্রুটি রয়েছে বলে বিমানের একটি সূত্র দাবি করেছে।

Bootstrap Image Preview