Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পুতিনকে প্রশ্ন করায় চাকরি হারালেন রাশিয়ার নারী সাংবাদিক!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৩:৪৬ PM
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৩:৪৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


প্রতিবছরই বড় করে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে তার বক্তব্য শোনার পর নানা বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্যে সাংবাদিকদের ডাকা হয়। আর যারা সেটি আয়োজন করেন তারাই সাধারণত উত্তর দেবেন। কিন্তু সেই সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করে চাকরি হারিয়েছেন এক নারী সাংবাদিক।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, পুতিনের বাৎসরিক সংবাদ সম্মেলনে গিয়েছিলেন রাশিয়ার ইয়ামাল এলাকার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সাংবাদিক অ্যালিসা ইয়ারাভস্কিয়া। হাতে মাইক পেয়ে অন্য আর সব সাংবাদিকের মতো প্রশ্ন শুরু করলেন ইয়ারাভস্কিয়া। বৈশ্বিক উষ্ণতা ইয়ামাল এলাকার জন্য কতটা ভালো সৌভাগ্য বয়ে আনছে সে প্রসঙ্গ দিয়ে শুরু করেন তিনি। এর ফলে আর্কটিক সাগরের বরফ গলে যাচ্ছে আর তাতে স্থানীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু একটি সেতু নির্মাণে অনেক দেরি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন অ্যালিসা ইয়ারাভস্কিয়া।

অ্যালিসা ইয়ারাভস্কিয়া বলেন, শহরের গভর্নর এই ব্রিজকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার কোনো চেষ্টার ত্রুটি করছেন না। কিন্তু সরকারের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বিষয়টি কম গুরুত্ব পাচ্ছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে বড়সড় উদ্যোগ নেয়া যায়? এমন প্রশ্নের উত্তরে পুতিন জানান, শুধু একটি প্রকল্পকে গুরুত্ব দিয়ে বাছাই করা কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য বেমানান হবে। এই ব্রিজটি আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় খুব গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করবে সে প্রসঙ্গে তিনি ওয়াকিবহাল আছেন এর দিকে বাড়তি মনোযোগ দেয়া হবে।

সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মাইক্রোফোনটি যাওয়ার কথা ছিল ডিমিত্রি পেসকভের বাছাই করা একই চ্যানেলের অন্য এক সাংবাদিকের কাছে। আর তার টেলিভিশন চ্যানেল তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে কারণ যে সাংবাদিককে প্রশ্ন করার জন্য বাছাই করা হয়েছিলো তাকে তিনি মাইক্রোফোনটি না দিয়ে নিজেই প্রশ্ন করছেন। তবে কী কারণে তার চাকরি হারাতে হলো তা এখনো পরিষ্কার নয়। কিন্তু স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে তার এই প্রশ্নে নাখোশ হয়েছেন ইয়ামাল অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ। আর তাছাড়া যে চ্যানেলে তিনি কাজ করেন সেটি স্থানীয় প্রশাসনের মালিকানাধীন।

অন্যদিকে আরেক রিপোর্টে বলা হচ্ছে সংবাদ সম্মেলনে তোলা পুতিনের একটি ছবি তিনি ফেসবুকে পোষ্ট করেছিলেন। যাতে তিনি প্রেসিডেন্টকে কেমন দেখাচ্ছিল সেনিয়েও মন্তব্য করেছেন। পোস্টে ইয়ারাভস্কিয়া লেখেন, আমি কোনো বোটক্সের চিহ্ন দেখছি না। তাকে (পুতিন) দেখে তার বয়সের মতোই মনে হচ্ছে।

চেহারায় বয়সের ছাপ লুকানোর জন্য 'বোটক্স' খুব জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। তবে ওই পোষ্টটি অবশ্য পরে ডিলিট করে ফেলা হয়েছে। রাশিয়াতে সাংবাদিকেরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা পান না বা অনেক সময় তারা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু অ্যালিসা ইয়ারাভস্কিয়া ঠিক কী কারণে চাকরি হারালেন সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। তিনি নিজে অবশ্য বলেছেন, তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়নি বরং তিনি পদত্যাগ করেছেন।

সূত্র : মস্কো টাইমস, বিবিসি বাংলা।

 

Bootstrap Image Preview