বড়দিনকে ঘিরে বিশ্বব্যাপী নানা খেলায় মেতেছেন খেলাপ্রেমীরা। শুধু ইউরোপে নয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতেও অনুষ্ঠিত হয়েছে স্পিডবোট রেসের মতো প্রতিযোগিতা। এছাড়া বেলজিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে মজাদার ‘মাড সাইক্লিং’। কাঁদার মধ্যে সাইকেল চালিয়ে বড়দিনের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন সাইক্লিস্টরা।
গায়ে ভারি পোশাক, বাতাসে তীব্র আদ্রতা। বলার অপেক্ষা রাখে না কনকনে শীত বিশ্বব্যাপী জেঁকে বসেছে। বছরের শেষটায় তাতে বাড়তি রসদ জুগিয়েছে ক্রিসমাস। বড়দিন ঘিরে নিজেদের অবসর সময়ের কিছুটা বরাদ্দ রেখেছে খেলা উপভোগের।
ইউরোপের বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় আলাদা মাত্রা পায় বড়দিনের স্পিড বোট রেস। ৩৬ বছরের ইতিহাসে এবারই তা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে মরুভূমির দেশটিতে। দেশ বিদেশের শত শত রেসাররা ঝড় তোলেন নদীর বুকে। যেখানে নিজের প্রিয় ইঞ্জিন চালিত বোটটাকে ছুটিয়েছেন প্রাণ ভরে ।রেসারদেরও মুগ্ধতার শেষ নেই রেসের ময়দানকে ঘিরে।
এক রেসার বলেন, আমি সারাবছর অপেক্ষা করি এই রেসের জন্য। এবছর এটা আরও জমেছে। রেসারদের পারফরম্যান্স আর প্রতিযোগী মনোভাব এবার লড়াইকে জমিয়ে তুলেছে।এ বছর ক্রিসমাস রেসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সুইডিশ রেসার অ্যান্ডারসন। এশিয়া ছেড়ে ইউরোপে নজর দেয়া যাক। বেলজিয়ামে সাইক্লিং বেশ জনপ্রিয়। তার চেয়েও বেশি জনপ্রিয় কাঁদা মধ্যে সাইক্লিং।
ছেলেদের রেসে লড়াই হয়েছে যেমন তেমন, মেয়েদের রেসে হোঁচট খাওয়াটা দেখুন! কর্দমাক্ত ট্র্যাকে সাইকেল ছোটাতে হয় দ্রুত গতিতে। বার বার আটকে যায়, যার জন্য প্রয়োজন হয় বাড়তি পরিশ্রম। হাল ছেড়ো না বন্ধু বরং এগিয়ে যাও সাইকেলে চড়ে। প্রতিদিনের জীবনে অনুপ্রেরণা পেতে যেন খেলা অত্যাবশ্যক।
কাঁদার মধ্যে সাইকেল চালিয়ে শুধু বড়দিনের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেয়া নয়, সাইক্লিস্টরা সবাইকে বেধেছে সম্প্রীতির বন্ধনে। চ্যাম্পিয়নরা তাদের পুরস্কার থেকে প্রাপ্ত পুরো অর্থ দান করেছে একটি দাতব্য সংস্থায়।