Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নূরের ওপর হামলা, প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:৫৪ PM
আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:৫৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে ভিপি নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছয় কার্যদিবসের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রদানের জন্য কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে।

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সুপ্রিয়া সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য ড. মো. মিজানুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাঈনুল করিম (সদস্য-সচিব)।

অন্যদিকে, ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুল হকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ডাকা সমাবেশ থেকে প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানীর পদত্যাগের দাবি তুলেছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলেছে, যে প্রক্টর ছাত্রদের রক্ষা করতে পারে না, তার এই পদে থাকার প্রয়োজন নেই। দ্রুত তাকে পদত্যাগ করতে হবে।

সোমবার বেলা ১২টার দিকে টিএসসির সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে ‘সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য’ আয়োজিত সমাবেশ থেকে তারা প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি করেন।

সমাবেশে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা আখতার হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ছাত্রলীগের সন্ত্রাস চলতে দেওয়া হবে না। ছাত্রলীগের যেসব সন্ত্রাসী হামলা করেছে তা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে আছে। ফুটেজ প্রকাশ করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রক্টরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে পদত্যাগ করুন।

ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সভাপতি আবু রায়হান খান বলেন, একের পর এক ঘটনা ঘটছে। কিন্তু ভিসি আর প্রশাসন চুপ। উনি কি ছাত্রলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন? আমরা হামলার শিকার হলে ফোন ধরেন না। কিন্তু রাতের আধারে ছাত্রলীগের সঙ্গে জোট তৈরি করেন। ভিসি এবং প্রক্টরের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালাব।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিক বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে বলা হয় স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবির। গণতান্ত্রিক দাবিতে কথা বললে হত্যা করা হচ্ছে। এজন্যই ৩০ লাখ শহীদরা জীবন দিয়েছেন? শান্তির নামে অশান্তি সৃষ্টি করছে ছাত্রলীগ। সামাজিকভাবে বয়কট করুন ছাত্রলীগকে।

 

Bootstrap Image Preview