Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

২১ বছর ক্ষমতায় আসতে না পারার কারণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:১৬ AM
আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:১৬ AM

bdmorning Image Preview


১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বগহণের পর দলের ভেতরে-বাইরের ষড়যন্ত, অসহযোগিতা, দলে গ্রুপিং-ভাঙনসহ অজানা অনেক কথা তৃণমূল নেতাদের কাছে তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আপনাদের মনে আছে এই সংগঠন গোছাতে কম কষ্ট করতে হয়নি।’

১৯৭৫’র পর ক্ষমতায় আসতে আওয়ামী লীগকে ২১ বছর অপেক্ষার কারণ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, “হয়তো ৮০’র দশকেই আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারতো, নির্বাচন করে জয়ী হতে পারতাম।”

গণভবনে একুশতম জাতীয় সম্মেলনে পুনরায় আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান বিভিন্ন পর্যায়ের তৃণমূল নেতারা। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালন করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় কষ্টের কথাগুলো তৃণমূল নেতাদের কাছে তুলে ধরেন তিনি।

এর আগে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২১ জাতীয় সম্মেলনে টানা নবমবারের মতো দলটির সভাপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মিডিয়ার ক্যামেরা বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমাকে একটু মন খুলে কথা বলতে দাও।

১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনার সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের ভূমিকা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, তখনও এত নেতা ছিল কিন্তু আমরা জাতির পিতাকে রক্ষা করতে পারিনি। ওনার লাশ পড়ে থাকল, কেউ এগিয়ে আসল না।

১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্বগ্রহণের পর অনেকের অসহযোগিতা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, দলকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে এই আমি দেশে ফিরে সব চাচাদের (তৎকালীন সিনিয়র নেতা) দরজায় দরজায় ঘুরেছি। সবার কাছে গেছি। কিন্তু কার কাছে কি পেয়েছি, সব কথা আমি জানি। আমি সব কথা বলতে চাই না।

এর আগে সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ এর ঘটনার পরে আবার আওয়ামী লীগের ওপর যে আঘাত আসলো- তখন এটাই ধারনা করেছিল যে আওয়ামী লীগ আর কখনো ক্ষমতায় যেতে পারবে না। এটাই ছিল সকলের পরিকল্পনা।’

৮১ সালে বিদেশে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত হওয়া এব পরে দেশে ফিরে আসার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যাই হোক আমাকে নিয়ে আসা হয়। আমি চেষ্টা করেছি সংগঠন গোছাতে। আপনাদের মনে আছে এই সংগঠন গোছাতে কম কষ্ট করতে হয়নি।’

‘সবচেয়ে দুঃখজনক হলো আমি ৮১ সালে আসলাম, ৮২ সালে একবার পার্টি ভাঙলো। এই ভাঙাটা আমার জন্য খুব ক্ষতিকর ছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার দুঃখ লাগে যে যাদের ওপর সবচেয়ে বেশি ভরসা করেছি, দেশের বাইরে থাকতে যারা আমার সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ করেছেন, আমি বাইরে থাকতে, ইন্ডিয়াতে থাকতে বা লন্ডনে থাকতে, যে তাদের সঙ্গে কাজ করবো তারাই আমাকে হতাশ করেছেন।’

‘১৯৭৯ সালে মুক্তি পাওয়ার পর, সবাই আওয়ামী লীগের নেতারা যখন মুক্তি পেলো। ৮০ সালে লন্ডনে আমার সঙ্গে দেখা করেছে… আর ৭৯ সাল থেকে ইন্ডিয়াতে যখন আমার সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তখন সব সময় আমাকে জিজ্ঞেস করতো তখন আমি সব সময় যার কথা বলে দিতাম, তিনি যাতে দলটা চালাতে পারেন তার কিছু ব্যবস্থাও আমি করে দিয়েছিলাম। যাদের যাদের জন্য করে দিয়েছি আমি ফিরে আসার পর তারাই আমার সঙ্গে বিট্রে করে চলে গিয়েছে।

‘এটা হচ্ছে আমাদের দুর্ভাগ্য। সব কিছু গুছিয়ে দিলাম, তখন আওয়ামী লীগের যারাই নেতা ছিলেন সবাই আমাদের কাছে জিজ্ঞেস করতেন। আমরা কাকে নিয়ে কাজ করবো, এত গ্রুপিং এর মধ্যে কোথায় যাবো।

Bootstrap Image Preview