ইতিহাসের জন্ম দিলো লিভারপুল। ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম শিরোপা ঘরে তুললো অল রেডরা। রবার্তো ফিরমিনোর অতিরিক্ত সময়ের গোলে ফাইনালের মঞ্চে ব্রাজিলের ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ইয়র্গেন ক্লপ বাহিনী। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর দ্বিতীয় কোন ইংলিশ ক্লাব হিসেবে এই ট্রফি জিতলো লিভারপুল।
একটা ইতিহাস লিখলো লিভারপুল। ক্লাবটির জন্য ১২৭ বছরে যা প্রথম। ইংলিশ দলগুলোর মধ্যে এই এই অর্জন নিয়ে এতদিন একক অহমিকা ছিলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। সেখানে ভাগ বসালো অল রেডরা। উৎসবের রং লালে বাড়তি ছটা। যাতে প্রকম্পিত দোহার আকাশ।
নিদারুন কিছুর সম্ভাবনা নিয়েই এই ম্যাচে মাঠে নেমেছিলো লিভারপুল। তারপরও ছিলো শঙ্কা। ২০০৫ এ সাও পাওলো বঞ্চিত করেছিলো তাদের। এবার ফ্ল্যামেঙ্গো নামে ব্রাজিলেরই আরেক ক্লাবের চোখ রাঙ্গানী। অবশ্য মাঠের লড়াইয়ে শুরু থেকেই অধিপত্য ক্লপ বাহিনীর। সেটা ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে প্রথমার্ধের শেষ মিনিট পর্যন্ত। দুবারই সুযোগ পেয়েছিলেন রবার্তো ফিরমিনো। কিন্তু একবারও বল পোস্টে রাখতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড।
কেনে ফ্ল্যামঙ্গোকে নিয়ে ক্লপের এত ভয় সেটা হারে হারে ইউরোপ সেরারা টের পায় ৫৩ মিনিটে। ডি বক্সের ভেতর থেকে দারুন এক শটে প্রতিপক্ষের হৃদস্পন্দন চেপে ধরেন গ্যাব্রিয়েল। ডান পাশে ঝাপিয়ে দারুন দক্ষতায় দলকে উদ্ধার করেন এলিসন বেকার।
ম্যাচের অনুর্বর ৯০ মিনিটের যোগ করা সময়ে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো ব্রাজিলের ক্লাবটি। ডি বক্সের স্টার্টিং লাইনে সাদিও মানের ট্যাকেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। তবে ভিডিও অ্যাসিসট্যান্স নিয়ে সে যাত্রায় রক্ষা পায় ল্যাটিন জায়ান্টরা।দোহায় ফাইনালের রাতটা মোটেও পানশে ছিলো না। প্রতি মুহুর্তে উত্তেজনার পরশ বুলিয়ে যাওয়র উপলক্ষ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে একবারই ভুল করে ফ্ল্যামেঙ্গো। যার পূর্ণ ফায়দা ওঠায় ফিরমিনো।
অলরেডদের নাম্বার নাইনের এই স্কোরে নিশ্চিত ভাবেই ছুটবে প্রশংসা বান। তিনিও মেতেছিলেন বুনো উল্লাসে! কিন্তু ব্রাজিলিয়ানদের কাছে ফিরমিনো ট্র্যাজিক হিরো। অনেকের মতে অকৃতজ্ঞও!