একসময় চেলসি-আর্সেনাল মহারণ ছিল সেরা লন্ডন ডার্বি। গত কয়েক বছরে চেলসির সবচেয়ে বড় নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে টটেনহ্যাম। এবার দুই পড়শির লড়াইয়ে থাকছে বাড়তি রোমাঞ্চ। লড়াইটা যে গুরু-শিষ্যের! ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের হাইভোল্ডেজ ম্যাচে আজ ফ্র্যাংক ল্যাম্পার্ডের চেলসিকে আতিথ্য দেবে হোসে মরিনহোর টটেনহ্যাম। ইংল্যান্ডে চেলসিই ছিল মরিনহোর প্রথম দল। তার কোচিংয়েই পরাশক্তি হয়ে ওঠে ব্লুজরা।
আর সেই দলের সবচেয়ে বড় তারকা ছিলেন ল্যাম্পার্ড। মরিনহোর অধীনে দু’বার প্রিমিয়ার লিগ জিতেছেন সাবেক ইংলিশ মিডফিল্ডার। গত বছর দ্বিতীয় বিভাগের দল ডার্বির দায়িত্ব নিয়ে কোচিংয়ে পা রাখা ল্যাম্পার্ড এ মৌসুমেই চেলসির হাল ধরেছেন। অন্যদিকে দ্বিতীয় মেয়াদে চেলসি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর ম্যানইউ ঘুরে গত মাসে টটেনহ্যামের দায়িত্ব নিয়েছেন মরিনহো। প্রিমিয়ার লিগে আজ প্রথমবারের মতো ডাগআউটে সাবেক শিষ্যের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন পর্তুগিজ কোচ।
পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা; ভালোবাসায় কোনো কমতি না থাকলেও দু’জনই আজ জয়ের জন্য মরিয়া। মরিনহো দায়িত্ব নেয়ার সময় চেলসির চেয়ে ১২ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিল টটেনহ্যাম। মাত্র পাঁচ ম্যাচেই সেই ব্যবধান তিন পয়েন্টে নেমে এসেছে। মরিনহোর অধীনে লিগে পাঁচ ম্যাচের চারটিই জিতেছে টটেনহ্যাম।
এই সময়ে ল্যাম্পার্ডের চেলসি হেরেছে চার ম্যাচ। আজও যদি চেলসি হারে সেক্ষেত্রে তাদেরকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে যাবে টটেনহ্যাম। গতবার ল্যাম্পার্ডের ডার্বির কাছে হেরে লিগ কাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল মরিনহোর ম্যানইউ। এবার আর শিষ্যের কাছে হার মানতে চান না মরিনহো, ‘খেলোয়াড় হিসেবে সে আমাকে যা দিয়েছে তা কখনও ভুলব না আমি। ফ্র্যাংককে আমি ভালোবাসি। সবসময় ভালোবেসে যাব।
কিন্তু আশা করব রোববার সে হারবে। গত বছর আমি তার কাছে হেরেছিলাম। ব্যাপারটা এমনই।’ ল্যাম্পার্ডের কণ্ঠেও অভিন্ন সুর, ‘আমার ক্যারিয়ারে অনেক বড় প্রভাব ছিল হোসের। তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা সব সময়ই অটুট থাকবে। কিন্তু এটা টটেনহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচ। অবশ্যই আমি তাকে হারাতে চাই।’