কয়েকদিন ধরে চলা শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেলেও ঠাণ্ডার দাপট রয়ে গেছে। ফলে প্রচণ্ড শীতে কাবু হয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকার জনজীবন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর ঠাণ্ডা বাতাসে হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশটির বাসিন্দাদের।
এদিকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ফরিদপুরে রেকর্ড করা হয়েছে। তীব্র শীতে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। শনিবার সকাল ৬টায় ফরিদপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে দেশের উত্তর/উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাশাপাশি তীব্র শীত মধ্যাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল, এমনকি দক্ষিণাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে।
ফরিদপুরের পার্শ্ববর্তী মাদারীপুরে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, গোপালগঞ্জে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ঢাকায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি, টাঙ্গাইলে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি, কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ১৩ ডিগ্রি, ময়মনসিংহে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি, নেত্রকোনায় ১৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী কয়েকদিনের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, চলতি মাসের শেষদিক ছাড়াও জানুয়ারির প্রথমদিকে আরেকটি মৃদু বা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে
ঢাকা বাসিন্দা সোনিয়া আকতার বলছেন, কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড শীত। শীতের সঙ্গে বাতাস, বাসার বাইরেই বের হতে পারছি না। কুয়াশায় চারদিক অনেকটা অন্ধকার হয়ে রয়েছে। বাসার বয়স্করা আর শিশুরা অসুস্থ পড়ছে।
আরেক বাসিন্দা আহমেদ উল্লাহ বলছেন, গতকালের চেয়ে আজ ঠাণ্ডা আরও বেশি পড়েছে। বাধ্য না হলে বাসার কেউ বাইরে বের হচ্ছে না।
রাজধানী ঢাকায় শীত তুলনামূলক কম পড়লেও এই শৈত্যপ্রবাহে কাবু হয়ে পড়েছে নগরবাসীও। ঢাকার অনেক স্থানে পথের পাশে মানুষজনকে কাগজ-কাঠ জড়ো করে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলছেন, দেশের ওপর দিয়ে একটি যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছিল, সেটা শেষ হয়ে গেছে। তবে দিনে তাপমাত্রা কম থাকায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। সেটা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে।
তিনি বলছেন, উত্তর-পশ্চিম শক্তিশালী বায়ুপ্রবাহ (জেড বায়ু) বেশি সক্রিয় থাকায়, মেঘলা আকাশ এবং ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো আসতে পারছে না। বাতাসে জলীয় বাষ্পে আর্দ্রতাও বেশি। ফলে দিনে তাপমাত্রা না বাড়ায় ঠাণ্ডা জেঁকে রয়েছে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ফরিদপুরে ১০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সবোর্চ্চ তাপমাত্রা কক্সবাজারের টেকনাফে ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।