নানা চমক আর রেকর্ডের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ১১তম জাতীয় আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। যেখানে প্রথমবারের মতো এই আসরের শিরোপা জিতেছে তীরন্দাজ সংসদ। তিনটি স্বর্ণসহ তাদের ঝুলিতে গেছে মোট ৮টি পদক। তিনটি স্বর্ণ জিতলেও একটি রৌপ্য কম জেতায়, রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলাদেশ আনসারকে। দেশসেরা আর্চারদের বিপক্ষে তরুণ আর উদীয়মান আর্চারদের এমন পারফর্মেন্সকে ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ফেডারেশন কর্তারা।
তীরন্দাজ নাকি আবারো আনসার। নাকি চমক দেখাবে সেনাবাহিনী কিংবা বিকেএসপি। এই প্রশ্নগুলোই বারবার ঘুরেফিরে এসেছে ১১তম জাতীয় আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ দিনে।
১০ স্বর্ণের নিষ্পত্তির ক্ষণে নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ অ্যারো নিক্ষেপ পর্যন্ত। যেখানে বাংলাদেশ আনসারের দীর্ঘদিনের আধিপত্যকে গুড়িয়ে, সমান তিন স্বর্ণ পেলেও ১টি রৌপ্য বেশি জেতায় শিরোপা গেছে তীরন্দাজ সংসদের ঘরে।
রিকার্ভ মিক্সডে বিউটি-সাকিব, কম্পাউন্ড মিক্সডে মিলন-বন্যা জুটি, ছেলেদের কম্পাউন্ডের টিম ইভেন্টে সেনাবাহিনী আর নারীদের কম্পাউন্ডের স্বর্ণ জিতেছে আনসার।
প্রথমদিন থেকেই এবারের আসরের ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে দাপট দেখিয়েছেন তরুণ আর জাতীয় দলের বাইরে থাকা আর্চার'রা। যাদের বিরুদ্ধে পাত্তাই পায়নি সবশেষ এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী অধিকাংশ আর্চার। ছেলেদের কম্পাউন্ডে রোমান-সাকিবদের হটিয়ে প্রথমবারের মতো স্বর্ণ জিতেছেন বিমান বাহিনীর রামকৃষ্ণ। দলের মধ্যে এমন প্রতিযোগিতাকে ফেডারেশন কর্তা রাশেদুজ্জামান সেরনিয়াবাত আর পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ দেখছে ইতিবাচক হিসবে।
এই আসরের প্রতিভাবানদের সঙ্গে জাতীয় দলের আর্চারদের নিয়ে আগামী বছরেরর ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের জন্য বাংলাদেশ দলের ক্যাম্প শুরু হবে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে।