নতুন একাডেমিক ক্যালেন্ডারে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত সহ কোর্স ড্রপের সুযোগ বাতিল করেছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। দুই সপ্তাহের অধিক সময় ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানানোর পর কয়েক দফা ক্যাম্পাসে আন্দোলন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ক্যাম্পাসে সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিলে অংশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লাজা এবং গ্যালারি এলাকায় অবস্থান গ্রহণ করে এবং স্লোগান দেয়। ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যাবহার করে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি একটাই- টাকা ফেরত সহ কোর্স ড্রপের সুযোগ। এ জন্য তাদের স্লোগান ছিল- 'এক দফা এক দাবি, ১০০% রিফান্ড চাই', 'উত্তর-দক্ষিণ এক হও, আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে' ইত্যাদি।
সম্প্রতি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির পরবর্তী সেমিস্টারের একাডেমিক ক্যালেন্ডার হালনাগাদ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে সম্পূর্ণ টাকা ফেরতে কোর্স বাতিল করার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। পাশাপাশি, রাখা হয়নি শিক্ষকদের নাম জেনে পছন্দমতো সেকশন এবং ক্লাসের সময় পছন্দ করার সুযোগ। পরবর্তী সেমিস্টার থেকে কোর্স নির্ধারণ করার পর শিক্ষার্থীদের পছন্দমতো শিক্ষক অথবা ক্লাসের সময় না মেলার কারণে কেউ যদি কোনো কোর্স বাতিল করেন তাহলে তাকে কোর্স ফির ৫০ ভাগ বা অর্ধেক খোয়াতে দিতে হবে। এছাড়া, ক্লাস শুরুর আগেই নতুন কোর্স যুক্ত করা বা সেকশন পরিবর্তন করার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ম আরোপ করার পরই ফুঁসে উঠে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের প্রবল প্রতিবাদের ফলে কর্তৃপক্ষ এটি টাকার পরিমাণ ২০% এ নামিয়ে আনে, কিন্তু এতে সন্তুষ্ট নন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, পূর্বের মত ১০০% ফেরত সহ কোর্স বাতিল বা ড্রপ করার সুযোগ রাখা হোক।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনরত একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি দিন দিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে। ছাত্রদের সুযোগ সুবিধার দিকে দৃষ্টি না দিয়ে শুধুমাত্র পয়সার জন্যই এমন ক্যাম্পাস বানানো হয়েছে।'