Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শিরচ্ছেদ থেকে শুরু করে পুরুষাঙ্গ কর্তন, সারাবিশ্বে ধর্ষণের বিভিন্ন শাস্তি  

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:১৬ PM
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:১৮ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


সারাদেশে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ ঘটনায় অনেকেই মনে করেন, দেশে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে সৌদি আরবের কিংবা অন্যান্য মধ্যপাচ্যের দেশের রীতি মেনে চলা উচিৎ। পৃথিবীর অনেক দেশেই ধর্ষণের অভিযোগে ভয়ঙ্কর শাস্তি প্রদান করা হয়, যা হয়ত অনেকেরই অজানা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন দেশে ধর্ষণের কী শাস্তি।

সৌদি আরব : এটা আমাদের কমবেশি সবারই জানা। সৌদি আরবে ধর্ষণে জড়িত থাকলে প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ করা হয়। তবে তার আগে দোষীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে দেওয়া হয়।

চীন : ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড। তবে এই শাস্তি নিয়ে বিরোধিতাও রয়েছে। কারণ, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর অভিযুক্ত নির্দোষ ছিল এমনও দেখা গেছে। আরেকটি শাস্তি রয়েছে পুরুষাঙ্গচ্ছেদ।

ফ্রান্স : ধর্ষণের ঘটনায় ১৫ বছরের কারাদণ্ড। তবে ঘটনায় ক্ষতি ও নৃশংসতার বিচারে তা ৩০ বছর পর্যন্ত বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে।

উত্তর কোরিয়া : ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করানো হয়। অপরাধীকে গুলি করে ঝাঁজরা করে দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্র : স্টেট ও ফেডারেল আইন অনুযায়ী ধর্ষণের বিচার ভিন্ন। ফেডারেল আইন অনুযায়ী দোষীর সাজা কয়েক বছরের কারাদণ্ড থেকে যাবজ্জীবনও হতে পারে।

আফগানিস্তান : আদালত রায় দেওয়ার চারদিনের মধ্যে অভিযুক্তকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয় কিংবা ফাঁসি দেওয়া হয়।

মিসর : সে দেশে এখনো অনেক অপরাধে মধ্যযুগীয় শাস্তির প্রথা রয়েছে। তেমনই ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসি।

ইরান : শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ফাঁসি অথবা প্রকাশ্যে পাথর মেরে কার্যকর করা হয়।

নরওয়ে : সম্মতি ছাড়া যে কোনো যৌনতা ধর্ষণের মধ্যে পড়ে। নৃশংসতা অনুযায়ী দোষীর তিন থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হয়।

রাশিয়া : ধর্ষকের তিন থেকে ছয় বছরের কারাদণ্ড। তবে পরিস্থিতির বিচারে তা ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। যদি ধর্ষকের আচরণ অত‌্যন্ত নৃশংস হয়ে থাকে, তবে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

ইসরায়েল : দোষ প্রমাণ হলে ১৬ বছরের কারাদণ্ড। সে দেশে ধর্ষণের সংজ্ঞা আরো ব‌্যাপ্ত। অন‌্য যৌন নির্যাতনও এর অন্তর্ভুক্ত।

Bootstrap Image Preview