Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

সাংবাদিক থেকে দেশের রানি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ০৩:৪৬ PM
আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ০৩:৪৬ PM

bdmorning Image Preview


স্পেনের এক মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে লেতিজিয়া অরতিজ। তার জন্ম ১৯৭২ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর। মাদ্রিদের পাবলিক স্কুলে পড়ালেখা করেন তিনি। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর শুরু করেন সাংবাদিকতা।

২০০০ সালে তিনি অনূর্ধ্ব ৩০ বিভাগে দেশের সেরা সাংবাদিকের পুরস্কার পান। স্পেনের টিভিই টেলিভিশনে সাংবাদিকতা করতেন তিনি।

২০০২ সালে এক বন্ধুর ব্যক্তিগত পার্টিতে যান লেতিজিয়া। সেই পার্টিতে আমন্ত্রিত ছিলেন স্পেনের রাজকুমার ফিলিপও। সেখানেই দু’জনের পরিচয়। তখনও তারা জানতেন না যে, তাদের সম্পর্ক একদিন পরিণতি পাবে।

২০০৩ সালে তারা একসঙ্গে ছুটিও কাটান। ছুটি কাটিয়ে ফিরে ১ নভেম্বর প্রিন্স ফিলিপ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।

এক আগেও লেতিজিয়ার একবার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। লেতিজিয়ার অতীত নিয়ে রয়্যাল পরিবারে কোনও মাথাব্যথা ছিল না।

২০০৪ সালে তাদের রাজকীয় বিয়ে হয়। ১২০০ অতিথি আমন্ত্রিত ছিলেন বিয়েতে। লেতিজিয়া হয়ে যান প্রিন্সেস অব অস্ট্রিয়াস। তারপর মিয়ামিতে হানিমুন করেন তারা।

এরপর সাংবাদিকতা ছেড়ে পুরোপুরি রাজ পরিবারের কাজে মন দেন। এতদিন তিনি খবরের পিছনে দৌড়াতেন। এবার তার পিছনে দৌড়াতে শুরু করল ক্যামেরা। তিনি যেখানেই যেতেন, সাংবাদিকরাও সেখানে গিয়ে ভিড় করতে শুরু করলেন।

ঠিক যেন কোনও সিনেমার গল্প। এরপর থেকে লেতিজিয়ার জীবন পুরোপুরি বদলে যায়। তার পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে আদব-কায়দা বদলাতে হয় সবই। রাজপরিবারের সঙ্গে তাল মেলাতে নিজের চালচলনও বদলে ফেলেন লেতিজিয়া।

২০০৫ সালে প্রিন্স ফিলিপ এবং লেতিজিয়ার প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। নাম রাখা হয় লিওনর। সন্তানের জন্ম উপলক্ষে এই নামে যতজন স্পেনীয় রয়েছেন,ওই দিন তাদের সমস্ত ফ্লাইট বিনামূল্যে করার ঘোষণা দেন প্রিন্স ফিলিপ।

এরপর ২০০৮ সালে সোফিয়া নামে আরও এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তারা। মায়ের মতো দুই সন্তানও মিডিয়ার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে ওঠে।

২০১৪ সালে ১৯ জুন রাজা জুয়ান কার্লোসের মৃত্যুর পর ফিলিপ এবং লেতিজিয়া স্পেনের রাজা এবং রানি হন।

Bootstrap Image Preview