Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ সোমবার, জুন ২০২৫ | ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

জেএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করছে নার্সারির শিক্ষার্থী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:৪২ AM
আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:৪২ AM

bdmorning Image Preview


জেএসসি পরীক্ষার্থী ও নার্সারি পড়ুয়া শিশুকে দিয়ে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের অভিযোগ উঠেছে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে সদ্য সমাপ্ত জেএসসি পরীক্ষার বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের ১০০ খাতা জব্দ করা হয়েছে। 

সোমবার (২৫ নভেম্বর) উপজেলার আর্দশ হাইস্কুলের সামনে জিয়াউর রহমান নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূর আলম ও যুব উন্নয়ন অফিসার জামিল উদ্দিন পুলিশসহ ওই খাতাগুলো জব্দ করেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূর আলম বলেন, জব্দকৃত খাতাগুলো সিলগালা করে বিরামপুর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, বিরামপুর পৌর শহরের আদর্শ স্কুল পাড়ার বাসিন্দা ফুলবাড়ি উপজেলার জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক সাহানুর রহমান সদ্য সমাপ্ত জেএসসি পরীক্ষার ২৫০টি খাতা মূল্যায়নের জন্য দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড থেকে গ্রহণ করেন।

শিক্ষক সাহানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি নিজে খাতা মূল্যায়ন না করে প্রতিবেশী জিয়াউর রহমানের বাড়িতে ২৫০টি খাতা মূল্যায়নের জন্য দিয়ে যান।

এ বিষয়ে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী দিলরুবা বেগম বলেন, শিক্ষক সাহানুর রহমান ২৫০টি খাতার মধ্যে মূল্যায়ন শেষে ১৫০টি খাতা নিয়ে গেছে এবং অবশিষ্ট ১০০টি খাতা গত সোমবার নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এই খাতা নিয়ে যাওয়ার পর শিক্ষক সাহানুর রহমানের স্ত্রী বিরামপুর আদর্শ হাইস্কুলের শিক্ষিকা শাহনাজ বেগমের খাতাগুলোও দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল বলে জানান তিনি।

দিলরুবা বেগম আরও জানান, তার জেএসসি পরীক্ষা দেওয়া ছেলে অনিক ও নার্সারি পড়ুয়া শিশু আবরার ওইসব খাতা মূল্যায়ন করছে। এ দিকে শিশুদের দিয়ে খাতা মূল্যায়নের ফলে সত্যিই মূল্যায়ন হচ্ছে নাকি অবমূল্যায়ন হচ্ছে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে জব্দকৃত খাতা মূল্যায়ন বা ফলাফলে কোনো অসুবিধা হবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, জব্দকৃত খাতাগুলো দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে থানায় জমা রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে বিরামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview