Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

জুনিয়ারের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, কলেজ ছাত্রীর পাঁচটি দাঁত ভেঙে দিল বখাটে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ১১:৪৮ AM
আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ১১:৫৩ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


কলেজের সিনিয়র ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করে ব্যর্থ হয়ে ইটের আঘাতে তার পাঁচটি দাঁত ভেঙে দিয়েছে আজমির উল্লাহ (১৮) নামে এক বখাটে ছাত্র।

শরীয়তপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তারকে (১৯) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

খাদিজা ওই কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বাড়ি সদর উপজেলার চর কোয়ারপুর গ্রামে। বাবার নাম আবুল কালাম ঢালী।

অপরদিকে আজমিরও একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তার বাড়ি শরীয়তপুর পৌরসভার তুলাসার গ্রামে। বাবার নাম শাহ আলম খান। এ ঘটনায় খাদিজার বাবা থানায় মামলা করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পালং মডেল থানা সূত্র জানায়, আজমির দুই মাস ধরে খাদিজাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সে খাদিজাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রথম দিকে ওই ছাত্রী বিষয়টি গুরুত্ব দিতেন না। এক পর্যায়ে সহপাঠীদের মাধ্যমে আজমিরকে সতর্ক করেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। বুধবার ক্লাস শেষে কলেজ থেকে বের হওয়ার সময় তার পথরোধ করে আজমির। খাদিজা এর প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আজমির ইট দিয়ে তার মুখে আঘাত করে। এতে খাদিজার ওপরের মাড়ির তিনটি ও নিচের মাড়ির দুটি দাঁত ভেঙে যায়। পরে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন কুমার পোদ্দার জানান, খাদিজার পাঁচটি দাঁত ভেঙে গেছে। এছাড়া আরও কয়েকটি দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মুখে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। কিন্তু সদর হাসপাতালের দন্ত বিভাগে এ ধরনের ব্যবস্থা না থাকায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদিজার এক সহপাঠি বলেন, ছেলেটি আমাদের জুনিয়র। তাকে অনেকবার বারণ করেছি, বোঝানোর চেষ্টা করেছি সে যা চাইছে তা ঠিক নয়। কিন্তু সে বেপরোয়া ছিল। কারও কোনো কথা শোনেনি। আমরা বিষয়টি নিজেরা মোকাবিলা করতে চেয়েছিলাম। এ কারণে কলেজের শিক্ষকদের জানাইনি।

খাদিজার বাবা আবুল কালাম বলেন, কলেজে একটি ছেলে উত্ত্যক্ত করত তা মেয়ে বাড়িতে দুই-একবার বলেছিল। কিন্তু আমরা বিষয়টি কখনো গুরুত্ব দেইনি। কিন্তু এর মূল্য এমনভাবে দিতে হবে বুঝতে পারিনি।

শরীয়তপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ বলেন, এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আগামী শনিবার বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক পরিষদের সভা ডেকেছি।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক থাকায় আজমিরের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। বাড়িতে গিয়েও পরিবারের কোনো সদস্যকে পাওয়া যায়নি।

পালং মডেল থানার ওসি মো. আসলাম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় বখাটে আজমির বিরুদ্ধে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার হওয়ার পর আজমির পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Bootstrap Image Preview