শেষ মুহূর্তে যখন মাছ আড়তগুলোতে ব্যবসায়ী- কর্মচারীদের হাঁকডাকে ব্যস্ত থাকার কথা সেখানে অনেকটাই নীরব পরিবেশ বিরাজ করছে। মৎস বিভাগের তথ্যমতে দেশের মোট উৎপাদিত ও আহরিত ইলিশের ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ ইলিশ আসে ভোলা জেলার মেঘনা, তেতুলিয়া আর এসবের শাখা নদী থেকে।
জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ভোলার বিভিন্ন নদী থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার টন এবং সাগর থেকে ৪০ হাজারসহ মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার টন ইলিশ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু পাওয়া গেছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৫ হাজার টন কম ইলিশ। যার বাজারমূল্য প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
মৎস্য বিভাগ বলছে, ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসূচি সফলভাবে শেষ হওয়ায় এবার উৎপাদন বাড়বে, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন মৎস্যজীবীরা।
ইলিশের মৌসুম শুরু হয় মে-জুন মাসে। জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বর জুড়ে থাকে ভরা মৌসুম। অক্টোবরে মা ইলিশ যাতে অবাধে ডিম ছাড়তে পাড়ে সেজন্য শিকারে থাকে ৩ সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া মার্চ-এপ্রিলেও বন্ধ থাকে নদীতে মাছ ধরা।
জেলেরা বলছেন, ইলিশের মৌসুম শুরুর পর থেকে বেশিরভাগ সময় কাটে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে। আবার নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও মাছ ধরা পড়া নির্ভর করে আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর। তাই গত বছর ইলিশের খোঁজে নৌকা ভাসিয়ে ব্যাপক লোকসান গুনতে হয়েছে তাদের।
ভোলায় নিবন্ধিত জেলে ১ লাখ ৩২ হাজার। মূলত ইলিশের ওপরই নির্ভর করে এই জেলার অর্থনীতি। ইলিশ কম ধরা পড়লে এর প্রভাব পড়ে পুরো জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যে।