Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সাঈদকে কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৫১ AM
আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:৩৬ PM

bdmorning Image Preview


অবশেষে অপসারিত হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একেএম মমিনুল হক সাঈদ। বৃহস্পতিবার তাকে অপসারণ করে অফিস আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এর মধ্য দিয়ে যুগান্তরে প্রকাশিত খবরটিই সত্য হল। ১৪ অক্টোবর যুগান্তরে ‘বরখাস্ত হচ্ছেন কাউন্সিলর সাঈদ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত বরখাস্ত আদেশে বলা হয়েছে, মমিনুল হক সাঈদ যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই ডিএসসিসিতে ১৮টি বোর্ডসভার ১৩টিতে অনুপস্থিত ছিলেন।

একনাগাড়ে পরপর তিনটি বোর্ডসভায় অনুপস্থিত ছিলেন সাঈদ। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়াই বিদেশ গমন ও অবস্থান করেছেন। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলেও জবাবে যৌক্তিক প্রমাণ উপস্থাপনে ব্যর্থ হন তিনি।

ঘটনা তদন্তে কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। এ কারণে তাকে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯- এর ধারা ১৩-এর উপধারা(২) অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণ করা হল। প্রসঙ্গত, কোনো কাউন্সিলর পরপর তিনবার বোর্ডসভায় অনুপস্থিত হলেই তা অপসারণযোগ্য অপরাধ এবং অসদাচরণের শামিল।

জানা গেছে, সাঈদ যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। ২০১৫ সালে ডিএসসিসির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেও তিনি বোর্ডসভায় নিয়মিত যেতেন না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া অসংখ্যবার বিদেশে গেছেন। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরে আছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্র জানায়, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে গ্রেফতার হন অনেকেই।

পরে জানা যায়, ক্যাসিনো-কাণ্ডের হোতাদের অন্যতম কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ। এরপর থেকেই তিনি পলাতক। পরে বিভিন্ন জায়গা থেকে সাঈদকে বরখাস্ত করার চাপ বাড়তে থাকে।

তবে কেউই লিখিত অভিযোগ না দেয়ায় কোনো কার্যকর ব্যবস্থাও নিতে পারছিলেন না স্থানীয় সরকার বিভাগ। পরে সাঈদের বিরুদ্ধে করা আগের অভিযোগ (বোর্ডসভায় উপস্থিত না থাকা) তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

র‌্যাব সূত্র জানায়, রাজধানীর ফকিরাপুলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবটি চালাতেন এই সাঈদ। ক্লাবটিতে নিয়মিত ক্যাসিনো, জুয়া, মাদকের আসর বসত। র‌্যাবের অভিযানের পরই সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যান সাঈদ। ফকিরাপুল ও আরামবাগের অনেকেই তাকে ‘ক্যাসিনো সাঈদ’ নামে চেনেন। এছাড়া আরও চারটি ক্লাবের ক্যাসিনো ব্যবসা ছিল সাঈদের নিয়ন্ত্রণে।

Bootstrap Image Preview