Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অঝোরে কাঁদলেন অমিত সাহা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:০১ PM
আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:০১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহার ফের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ফের তার সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাইদ তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন বিকাল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে অমিত সাহাকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় হাতকড়া পড়ানো অমিত সাহাকে এজলাসের ডকে রাখা হয়। এর কিছু সময় পর আদালতে বিচারক আসলে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর একফাঁকে অমিত সাহার সঙ্গে সাংবাদিকদের কথা হয়।

অমিত সাহা বলেন, ঘটনার দিন আমি সেখানে ছিলাম না। রাত দেড়টার দিকে খবর পেয়েছি। আমি মিথ্যাভাবে ফেঁসে গেলাম। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

সহপাঠী আবরারকে পিটিয়ে হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিও তো একজন মানুষ। এ কথা বলে অমিত সাহা ডকে দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন। শুনানির সময় অমিত সাহাকে বেশ কয়েকবার কাঁদতে দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, আবরার হত্যার সবচেয়ে আলোচিত নাম অমিত সাহা। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম তার অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। ঘটনার বর্ণনায় সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আবরারকে শিবির সন্দেহে রাত ৮টার দিকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে আনা হয়।

সেখানে আমরা তার মোবাইলে ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জার চেক করি। ফেসবুকে বিতর্কিত কিছু পেজে তার লাইক দেয়ার প্রমাণ পাই। সে কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। আমরা তার শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাই। আবরার ফাহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুজতবা রাফিদ, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা।

এ বক্তব্যে অমিত সাহার নাম থাকলেও পরে ছাত্রলীগের তদন্তে এই ছাত্র ক্যাম্পাসের বাইরে ছিল উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করা হয়। আর প্রথম দিকে মামলার এজাহারেও অমিত সাহার নাম বাদ পড়ে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

 

Bootstrap Image Preview