Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

গরুর খামার করেই কোটিপতি আজিজ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০১৯, ১০:২৯ AM
আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯, ১০:২৯ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ। নীলফামারী জেলার সফল এক খামারির নাম। ১৭ বছর ধরে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন স্বপ্নের খামার। বর্তমানে তার খামারে ৪০টি গাভি, ১৫টি বকনা, ৫টি ষাঁড় ও ১৫টি বাছুর রয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা।

আজিজ ২০০২ সালে শংকর জাতের মাত্র ১টি গরু দিয়ে যাত্রা শুরু করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় একটি এনজিও থেকে এক লাখ টাকা ঋণ ও নিজস্ব কিছু পুঁজি নিয়ে আরও একটি গরু কেনেন। দুটি গরু থেকে পর্যায়ক্রমে বংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে আজকের এ অবস্থায় এসে পৌঁছেছে খামারটি। 

জানা যায়, বর্তমানে তার খামারে ১৫টি দুধের গাভি রয়েছে। এসব গাভি থেকে প্রতিদিন ১৫০-২০০ লিটার পর্যন্ত দুধ পেয়ে থাকেন। স্থানীয় বাজারে নিজস্ব একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে। সেখানকার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত কোম্পানিকে দুধ সরবরাহ করে থাকেন।

আজিজের ডেইরি খামারের পাশাপাশি রয়েছে ছোট একটি ছাগলের খামার। যেখানে দেশি ও উন্নত জাতের প্রায় ১৭টি ছাগল রয়েছে।

টেলিভিশনে দেখে উৎসাহিত হয়ে স্থাপন করেছেন তিনটি বায়োগ্যাস প্লান্ট। বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করার আগে গরুর গোবর তেমন কাজে আসত না। বর্তমানে গোবর থেকেও আয় হচ্ছে তার। একটি নিজে ব্যবহার করছেন আর দুটি ভাড়া দিচ্ছেন। একটি চুলা থেকে ভাড়া বাবদ আয় হচ্ছে ৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ মাসে ৬ হাজার টাকা অতিরিক্ত লাভ করছেন।

নিজের কর্মসংস্থান করার পাশাপাশি এখানে কাজ করছেন ৪ জন শ্রমিক। তাদের ৬ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দিচ্ছেন। শ্রমিকরা জানান, এখানে কাজ করতে পেরে তারা অনেক খুশি।

মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ জানান, প্রত্যেক মাসে খরচ বাদ দিয়ে ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় হয়ে থাকে। গরুর খাদ্যের দাম ও দুধের বাজার ওঠা-নামার সাথে আয়ও ওঠা-নামা করে থাকে।

তিনি আরও জানান, তার খামারের সফলতার পেছনে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সহযোগিতা রয়েছে। খামার করার পর থেকে আজ পর্যন্ত বড় ধরনের তেমন কোন সমস্যা হয়নি।

তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে বেকারত্ব দূর করতে হাতিয়ার হতে পারে গরুর খামার। সরকারের সহযোগিতা আরও বাড়লে এ খাতে ২০% বেকারত্ব দূর করা সম্ভব।

Bootstrap Image Preview