Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

একজন নির্লোভ তরুণ জনপ্রিয় সমাজকর্মী প্রসেনজিৎ পাল

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১ আগস্ট ২০১৯, ০৭:০৮ PM
আপডেট: ০১ আগস্ট ২০১৯, ০৭:০৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


প্রসেনজিৎ পাল মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার একজন জনপ্রিয় তরুণ সমাজকর্মী। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন তরুণ এ সমাজ কর্মী। ছিলেন একজন মুক্তচিন্তক আর এজন্য স্বল্প সময়ে সুশীল সমাজেও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি, সমাজে স্থান করে নিয়েছেন নিজের স্বতন্ত্র একটি অবস্থান।

প্রসেনজিৎ পাল, শ্রীমঙ্গল শহরের হরিণাকান্দি এলাকার পরেশ চন্দ্র পাল এর সন্তান। তিনি শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন সামাজিক, মানবিক ও ধর্মীয় সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে দুস্থ অসহায়দের পাশে দাঁড়াতেন। কথা বলতেন পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে।

মুক্তচিন্তক এই মানুষটি বিভিন্ন সামাজিক, মানবিক ও ধর্মীয় সংগঠনের পাশাপাশি ঢাকা শাহবাগের গনজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের স্বপক্ষে শ্রীমঙ্গল থানায় অনুষ্ঠিত মঞ্চের ছিলেন একজন একনিষ্ঠ কর্মী।

দেশের দলিত, পিছিয়ে পরা সাধারণ মানুষজন এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নানা দাবি দাওয়া ও তাদের উপর ঘটে যাওয়া নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচারের জন্য কাজ করতে গিয়ে সমাজের একশ্রেণীর প্রভাবশালী কট্টরপন্থীদের বিরাগভাজন হন তিনি।

বিভিন্ন অন্যায় প্রভাবশালী কর্তৃক নিরীহ মানুষজনের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে একের পর এক হুমকির শিকার হয়েছেন তিনি। কিন্তু নিরীহ মানুষজন তথা সংখ্যালগুদের উপর চলা অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যার ধমনীতে,তাকে আর আটকানো যাবে না বুঝতে পেরে তার বাবাও তার পাশে থেকে তাকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সাহস দিয়েছেন। তবে কট্টর মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে সভা সমাবেশসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির মাধ্যমে ধারাবাহিক প্রতিবাদ করতে গিয়ে একের পর এক হুমকির সম্মুখিন হন তরুণ এ সমাজ কর্মী। তারই ধারাবাহিকতায় গত বছর ১৮-০৬-২০১৮ তারিখে বাসায় ফেরার পথে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় মারাত্মক আহত হয়ে রক্তক্ষরণ হয়ে অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়লে প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মারাত্মক আহত হয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও তার উপর ফের একের পর এক জীবননাশের হুমকি আসতে থাকলে একসময় তিনি জীবন বাঁচাতে দেশত্যাগে বাধ্য হন।

তার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশে চা শ্রমিক সম্প্রদায় থেকে শুরু করে অবহেলিত মানুষজনসহ সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য তার নামে এখনও বাড়িতে বিভিন্নভাবে হুমকি আসছে কিন্তু নিরাপত্তার অভাবে আইনি আশ্রয় নিতেও ভয় পাচ্ছেন বলে জানান তারা।

এদিকে একের পর এক হুমকি আসতে থাকায় প্রাণে বাঁচতে তার সন্তান এখন দেশের বাহিরে অবস্থান করছেন বলেও এ প্রতিবেদককে জানান অসহায় তরুণ সমাজকর্মী প্রসেনজিতের পিতা।

Bootstrap Image Preview