Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভাগ্য খুললো ৫১২ কৃষকের!

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০১৯, ১০:২০ PM
আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৯, ১০:২১ PM

bdmorning Image Preview


২য় ধাপের বরাদ্দেও কৃষকের তুলনায় বোরো ধান সংগ্রহের বরাদ্দ কম থাকায় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে সরকারের নিকট সরাসরি ধান বিক্রির জন্য লটারীর মাধ্যমে কৃষকের তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর দেড়টার সময় উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলার ২৮ হাজার ৪ ঊনিশ জন কৃষকের মধ্য থেকে লটারীর মাধ্যমে ৫১২জন কৃষকের নামের তালিকা প্রণয়ন করা হয়।

লটারীর মাধ্যমে তালিকাভুক্ত ওই ৫১২জন কৃষক সরাসরি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুটি খাদ্য গুদামে মাথাপিছু ১ মে.টন হারে সরসারি ধান বিক্রি করতে পারবেন।

তবে বোরো ধান সংগ্রহ অভিযানে এবারই বারের মত প্রথম লটারীর মাধ্যমে কৃষকের তালিকা প্রনয়ণ করা হয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলার ৫টি উপজেলায়।

এর আগে সরকারিভাবে ধান ক্রয় করা হলেও তাতে লাভবান হতে পারেনি কৃষক। সবই ছিল ব্যবসায়ীদের ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে।

এ পদ্ধতি ধান সংগ্রহ করা হলে সরাসরি কৃষক উপকৃত হবে এমন ধারণা করেই ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

২য় ধাপে কৃষকের ভাগ্য নির্ধারণী লটারী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক মাজহারুল ইসলাম, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র বর্মন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুমন আহমেদ, ওসি এলএসডি শেখ আব্দুস সালাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ, ৮ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ ও স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র বর্মন বলেন, ১ম ধাপে ৬৪ জন কৃষকের নিকট হতে ৪’শ কেজি করে ধান সংগ্রহ অভিযান শেষ হয়েছে।

২য় ধাপের কৃষকরা মাথাপিছু ১ মে.টন ধান দিতে পারবে ৫১২ জন কৃষক। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৩টি করে ২৭টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী লটারীর মাধ্যমে কৃষকের তালিকা প্রনয়ণ করা হয়েছে।

এ তালিকার কৃষকদের নিকট হতে আগামীকাল মঙ্গলবার বিকাল থেকে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করা হবে। এ অভিযান চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। এরপরও ধান ক্রয় উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

উপজেলা কৃষি অধিদফতর থেকে জানা গেছে, চলতি বছর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ৭ হাজার ৭’শ হেক্টর জমিতে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। উৎপাদন হয়েছে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে। তবে অনেক কৃষকের ঘরেই এখন ধান নেই।

Bootstrap Image Preview