লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা তীরবর্তী ইউনিয়নগুলোতে পানিবন্দী লোকজেনর মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
রবিবার (১৪ জুলাই) ওই উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার ও গড্ডিমারী ইউনিয়নে সহকারী কমিশনার সুইচিং মং মারমা বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসার ফেরদৌস আলম বলেন, এ উপজেলার জন্য ৪০ মে. টন জি আর চাল ও আড়াই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
জনপ্রতি ১৫ কেজি হারে চাল বিতরণ প্রায় শেষের দিকে। তবে শুকনা খাবার প্যাকেট করতে দেরি হওয়ায় শনিবার বিকেলে বিতরণ শুরু হয়েছে। পারিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলী হায়দার বলেন, ১১০ মে. টন জিআর চাল ও আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তবে শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় টাকা উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। তাই বাকীতে বা অন্য কোথাও ধার নিয়ে শুকনা খাবার সংগ্রহ করে বিতরণ করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে।
স্থানীয়ভাবে টাকা ম্যানেজ করতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় শুকনা খাবার বিতরণে কিছুটা দেরি হয়েছে। শুকনা খাবার হিসেবে জেলা ত্রাণ শাখার গুদামে এক হাজার ৯৪৭ প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে বলেও জানান তিনি।