Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফরিদপুরে পানির অভাবে বিপাকে পড়েছেন পাট চাষীরা

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০১৯, ০৬:৫০ PM
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯, ০৬:৫০ PM

bdmorning Image Preview


বাংলাদেশের মধ্যে পাটের জন্য ফরিদপুর জেলা বিখ্যাত। জেলার মধ্যে পাটের ফলন ও মানের দিক দিয়ে সালথা উপজেলা সর্বচ্চ স্থান অধিকার করেছে। এ বছরের শুরুতেই আবহাওয়া পাটের অনুকুলে থাকায় পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও পানির অভাবে বিপাকের মধ্যে পড়েছেন চাষীরা। 

জানা যায়, এই উপজেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এরমধ্যে পাট ও পিয়াজ অন্যতম ফসল। পূর্বে এই এলাকার কৃষকরা বৃষ্টির পর পাটের বীজ বপন করতো। বীজ বপন করার ১০/১৫ দিনের মধ্যেই আবার ঘনঘন বৃষ্টি হতো।

কোন প্রকার সেচের ব্যবস্থা ছিলো না। রৌদ-বৃষ্টি ও আবহাওয়া পাটের অনুকুলে থাকার কারণে পাটের উৎপাদন ভাল হতো। এবছরে এই উপজেলায় সাড়ে ১২হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে।

কৃষকরা তাদের প্রধান ফসল পাট উৎপাদনের জন্য সেলোমেশিন দিয়ে সেচের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বর্তমানে পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও পানির অভাবে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন চাষীরা।

রামকান্তুপুর ইউনিয়নের পাট চাষী আকুব্বার, গট্টি ইউনিয়নের চাষী আবু তালেব বলেন প্রথমে পাটের পোকা ধরা নিয়ে বিপদে থাকলেও বর্তমানে পাট গাছ বেড়ে উঠার জন্য মনে আনন্দ দেখা দিয়েছে।

কিন্তু কোথাও পানি না থাকায় বাছপাট পচানো খুব কষ্ট হচ্ছে। এখন থেকে পাটক্ষেতে যদি পানি আসে তাহলে সুস্থ্য মতো পাট কাটা ও পচানোর জন্য সুবিধা হবে। বর্তমানে পাট যে অবস্থায় আছে, তাতে পাট ছাড়ানোর কাজ শেষে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

তারা আরও বলেন, এ বছর এখন পর্যন্ত কোন খাল-বিল, নদী- নালায় পানি আসেনি পানির অভাবে কৃষকরা পাট কাটতে পারছেন না। যেসব পাট আগে বপন করা হয়েছিলো সে সব ক্ষেতের পাট কাটা দরকার, না হলে পাট গাছ শুকিয়ে যাবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মাদ বিন ইয়ামিন বলেন, এবছরে এই উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে।

বর্তমানে পাটের অবস্থান খুবই সন্তোষজনক। তবে পানির অভাবে পাট পঁচানো নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাট চাষীরা। এখন ক্ষেতে পানি আসলে পাট পঁচানো সহজ হবে। তাতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠবে।

Bootstrap Image Preview