Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নওগাঁর চাহিদা বেড়েছে মাছ ধরার উপকরণ খলসুনের

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০১৯, ০৬:১৮ PM
আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৯, ০৬:১৮ PM

bdmorning Image Preview


নওগাঁর মান্দায় বর্ষা মৌসুমে চাহিদা বেড়েছে মাছ ধরার ব্যতিক্রমী উপরকণ খলসুনের। উপজেলার বিভিন্ন হাটে বিক্রয় হচ্ছে বাঁশ থেকে তৈরি করা এসব খলসুন। 

বর্ষায় নদী, খাল-বিল ভরে যায় পানিতে। স্থানীয় জেলেসহ অনেকেই মাছ ধরার কাজে খলসুন ব্যবহার করেন । উপজেলার সতীহাট বাজারে গিয়ে দেখা যায় খলসুনগুলো সারিবদ্ধভাবে নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা।

মান্দা উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর ঋষিপাড়ায় বসবাস করেন ১২৫-১৩০টি পরিবার। তারা সবাই বর্তমানে মাছ ধরার খলসুন তৈরি করে থাকেন। পুরুষদের পাশাপাশি সংসারের কাজ শেষ করে নারী কারিগররাও এসব তৈরি করে থাকেন। বর্ষা মৌসুমে দিন-রাত চলে খলসুন তৈরির কাজ।

খলসুন কারিগর শ্যামল কুমার ও হরিপদ জানান, তারা সতীহাট বাজার সহ আশপাশের অনেক হাটে বাজারে এই খলসুন বিক্রয় করে থাকেন। সারাবছর খলসুন বিক্রয় হলেও জ্যৈষ্ঠ-শ্রাবণ এই তিন মাস মাছ ধরার সরঞ্জাম খলসুনের চাহিদা সবচেয়ে বেশী হয়ে থাকে।

পরিবারের সকল সদস্য সম্মিলিত ভাবে খলসুন গুলো তৈরী করে থাকেন। পরিবারের সকল সদস্য মিলে সপ্তাহে তারা ১০-১২টি খলসুন তৈরী করতে পারেন। তারা দুই ধরনের খলসুন তৈরি করে থাকেন। আকারে ছোট খলসুনগুলো ১০০-১৫০টাকা এবং বড় খলসুন গুলো ২৫০-৩০০টাকয় তারা বিক্রয় করেন।

খলসুন কারিগর খগেন, হরি ও বিষু বলেন, খলসুন তৈরি করে বিক্রয়ই তাদের একমাত্র পেশা। বৃষ্টি হলে খলসুন বিক্রয় ভালো হয়, কিন্তু বৃষ্টি না হলে খলসুনের চাহিদা থাকে না এবং বিক্রয়ও তেমন হয় না। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন যাপন করতে হয়।

উপজেলার নবগ্রাম থেকে আগত খলসুন ক্রেতা গণি জানান, সতীহাটে তিনি খলসুন ক্রয়ের জন্য এসছেন। তিনি প্রতিদিন বাড়ির পাশে ক্ষেতের আলে, খালের কিনারে ও ডোবা-জলাশয়ের কিনারে অথবা বাড়ির পাশে বিলে রাতে খলসুন পাতেন এবং পরদিন সকালে খলসুনগুলো থেকে মাছ সংগ্রহ করেন।

Bootstrap Image Preview