হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহের কাজে বিভিন্ন অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটির অনুসন্ধাণে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাউল গনি ওসমানী।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) তিনি এ কথা গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন, প্রাথমিকভাবে আমরা কৃষকের তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম দেওয়া এবং একই পরিবারে একাধিক নাম দেওয়াসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি।
এ ব্যাপারে শিগগির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারি ধান-চাল সংগ্রহ কমিটির সভাপতি তৌহিদ-বিন হাসান বলেন, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের সংসদ সদস্য ও সরকারি ধান-চাল সংগ্রহ কমিটির উপদেষ্টা গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ বলেন, তদন্ত কমিটি সূত্রে জেনেছি সরকারি ধান সংগ্রহে কৃষকের নামের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে।
প্রকৃত কৃষকদের বাহিরে রেখে যারা নিজের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে তালিকায় নিজের নাম এবং একই পরিবারে একাধিক নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে অবশ্যই সেসব কুচক্রীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো আপোষ নেই।
উল্লেখ্য, নবীগঞ্জ উপজেলায় সরকারিভাবে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ও চাল ক্রয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে স্থানীয় কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষ অন্দোলন শুরু করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়।