Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অবশেষে প্রাণ গেল সেই অগ্নিদগ্ধ কলেজছাত্রী ফুলন বর্মণের

নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০১৯, ০৯:৪০ PM
আপডেট: ২৬ জুন ২০১৯, ১০:২৯ PM

bdmorning Image Preview


১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো নরসিংদীর অগ্নিদগ্ধ কলেজছাত্রী ফুলন বর্মণ (২২)।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৩ জুন রাত সাড়ে ৮টায় শহরের বীরপুর মহল্লায় পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে জিনিসপত্র কিনে বাসায় ফেরার পথে ফুলনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে তার শরীরের ১২ ভাগ পুড়ে যাওয়া অবস্থায় প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

ফুলন শহরের বীরপুর মহল্লার যোগেন্দ্র চন্দ্র বর্মণের মেয়ে। সে ২০১৮ সালে শহরের উদয়ন কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়।

এ ঘটনায় পরদিন (১৪ জুন) অগ্নিদগ্ধ ফুলন বর্মণের বাবা যোগেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনার তদন্তে নেমে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ একাধিক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রহস্য উদঘাটিত হয়।

গত ২১ জুন (শুক্রবার) নরসিংদীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমীন আক্তার পিংকির আদালতে দেয়া জবানবন্দীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ফুলনের পরিবারের প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই ফুলনের গায়ে পরিকল্পিতভাবে আগুন দেয়ার কথা স্বীকার করে রাজু সুত্রধর নামে এক আসামি। পরদিন একই ধরণের স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে ফুলনের ফুফাতো ভাই ভবতোষ বর্মণ। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার জবানবন্দী প্রদান করে অপর আসামি আনন্দ বর্মণ।

ফুলনের ফুফাতো ভাই ভবতোষ বর্মণের পরিকল্পনায় রাজু সূত্রধর ও আনন্দ বর্মণ নামে দুই সহযোগী আগুন দেয়ার ঘটনায় অংশ নেয়।

 

 

Bootstrap Image Preview