Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

হবিগঞ্জে ফার্মেসীর কর্মচারীই ডাক্তার, করেন সকল রোগের চিকিংসা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০১৯, ১২:১২ PM
আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯, ১২:১২ PM

bdmorning Image Preview


হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ঔষধ বাজারে অব্যবস্থাপনা দেখা দিয়েছে। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য আইন ও স্বাস্থ্যনীতিমালা।

এছাড়া বিভিন্ন স্থানে আর্ভিবাব ঘটেছে ভুয়া ডাক্তারের। রেজিষ্ট্রার চিকিৎসক নন এমন ব্যাক্তিরা উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে ফামের্সী গুলোতে বিক্রি করছে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এন্টিবায়েটিক।

স্থানীয় লোকদের অভিযোগ মাধবপুর বাজারে নজরুল ইসলাম নামে এক ঔষধ বিক্রেতা তার নিজস্ব প্রেসক্রিবশন এ এন্টিবায়টিক ঔষধ লিখছেন রোগীদের জন্য। তার ঔষধ সেবন করে রোগ কমার চেয়ে আরো বেড়েছে।

মাধবপুর উপজেলা পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে প্রায় ২শ ফার্মেসীতে রোগীদের মৌখিক রোগের বিবরণ শুনে ঔষধ বিক্রি করছেন ফার্মেসীর লোকজন। যাদের অধিকাংশ ফার্মাসিষ্ট প্রশিক্ষণই নেই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমি সাধারনত গরীব রোগীকে চিকিৎসা দেই। যারা চিকিংসা ব্যবস্থার

ফিস দিতে পারে না এমন রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকি। আমার ডিএমএফ প্রশিক্ষণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইশতিয়াক আল মামুন বলেন, কোন রেজিষ্ট্রার চিকিৎসক ছাড়া অন্য কেউ এন্টিবায়েটিক ব্যবস্থা পত্রে লিখতে পারে না। এটি সম্পূর্নরূপে বে-আইনি।

নজরুল ইসলাম নামে যে ব্যাক্তি এন্টিবায়েটিক লিখেছেন এটি তৃতীয় প্রজন্মের এন্টিবায়েটিক। এটি সেবন করা হলে রোগীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যাবে।

মাধবপুর বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজারে বিভিন্ন ফার্মেসীতে উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে এন্টিবায়েটিক সহ বিভিন্ন ঔষধ বিক্রি করা হচ্ছে। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

এ বিষয়টি নিয়ে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা তাসনূভা নাশতারান বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাচেছ তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Bootstrap Image Preview