লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে আবারো ৬৪ বাংলাদেশীসহ ৭৫ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে তিউনিশিয়ার পুলিশ। কিন্তু তাদেরকে কেউ গ্রহণ করতে রাজি হচ্ছে না। ফলে ১২ দিন ধরে তারা উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন তারা। তাদের অবস্থা শোচনীয়। তাদেরকে খাদ্য ও চিকিৎসা সুবিধা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এসব সুবিধা গ্রহণ করতে তারা অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তাদের একটিই দাবি, ইউরোপ যেতে দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) রেডক্রসকে উদ্ধৃত করে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রেডক্রস জানিয়েছে, লিবিয়া থেকে একটি গ্রুপে এসব মানুষ ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন সমুদ্রপথে। এর মধ্যে ৬৪ জন বাংলাদেশী। বাকিরা মরক্কো, সুদান ও মিশরের নাগরিক। তাদেরকে বহনকারী বোট ডুবে গিয়েছিল কিনা, এসব বিষয় তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কারভাবে জানা যায় নি।
আরো জানা গেছে, তিউনিশিয়ার জলসীমায় এসব অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে মিশরের একটি বোট। কিন্তু স্থানীয় মেডিনিন কর্তৃপক্ষ এসব অভিবাসীকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কারণ, শরণার্থী রাখার জন্য তাদের যেসব সেন্টার রয়েছে তাতে অত্যধিক মানুষে ঠাসা। স্থান সংকুলান হবে না সেখানে। ফলে তারা ওইসব অভিবাসীকে তীরে ভিড়তে দিচ্ছে না। এ জন্য জারজিস উপকূল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে আটকা পড়ে আছেন ওই অভিবাসীরা।
সরকারি একটি সূত্র জানা গেছে, অভিবাসীদেরকে খাবার ও চিকিৎসা সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা এর কোনোটিই নিতে রাজি নয়। তাদের একটাই দাবি, ইউরোপ যেতে দিতে হবে। এটাই তাদের টার্গেট। উন্নত জীবনের আশা নিয়ে তারা সমুদ্রপথে তাই যাত্রা শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিম বলেছেন, উদ্ধারকারী বোটে আটকে পড়া অভিবাসীদের চিকিৎসা দিতে কিছু ডাক্তার পৌঁছেছেন সেখানে। অল্প কিছু অভিবাসী চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকিরা যেকোনো রকম সহায়তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, ১২ দিন সমুদ্রে আটকা থাকার পর এসব অভিবাসীর অবস্থা খুব শোচনীয় হয়ে উঠেছে।