নাটোরের বড়াইগ্রামের চান্দাই এলাকা থেকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বাদশাকে (৩৫) অস্ত্রের মুখে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) উপজেলার চান্দাই বাজার সংলগ্ন তার গ্রামের বাড়ি থেকে এি অপহরণের ঘটনা ঘটে।
আব্দুল হান্নান বড়াইগ্রাম উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর এবং ৫ম ও ৭ম জাতীয় নির্বাচনে নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আব্দুল হাই মাস্টারের বড় ছেলে।
এছাড়াও আব্দুল হান্নান নিজেও রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সাবেক নেতা ছিলেন। তিনি পূর্বে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী ছিলেন ও বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল লক্ষীপুর শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
অপহৃত আব্দুল হান্নানের স্ত্রী খাদিজাতুল কোবরা জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে বাড়ির পিছন দরজা দিয়ে দুইটি মোটরসাইকেলে ৪-৫ জন সাদা পোশাকধারী ব্যক্তি বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় তারা মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে বাদশাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোন খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ঘটনায় খাদিজাতুল কোবরা বড়াইগ্রাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছেন।
অপহরণের বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস বলেন, বিষয়টি শুনেছি। আব্দুল হান্নান বাদশার সন্ধান পেতে পুলিশ যথাযথ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
অপরদিকে, আব্দুল হান্নান বাদশা অপহৃত হওয়ার সংবাদ ফেসবুকে পোস্ট করার পর স্থানীয় সাংবাদিক ও বড়াইগ্রাম কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক সাকলাইন শুভকে বাদশার ছোট চাচা ওয়াদুদ সরকার মোবাইল ফোনে হুমকী দিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হুমকির বিষয়ে সাকলাইন শুভ জানান, অপহৃত আব্দুল হান্নান বাদশার চাচা তাকে মোবাইল ফোনে হুমকী-ধামকী দিয়ে বলেন ‘বাদশাকে তুই তুলে নিয়ে গেছিস। এমপি বা ওসি তোকে আর বাঁচাতে পারবে না’।
তিনি এই বিষয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন বলেও জানান এসময়।