সজীবটা অকালে চলে গেলো! জ্বর হলে প্যারাসিটামল, পেট মুচরাইলে ফ্লাজিল কিন্তু ডিপ্রেশন হলে কোনো ওষুধ আর কেউ সাজেস্ট করেনা।
ডিপ্রেশন ইজ নট এ জোক- এ কথা কেউ বুঝতেই চায়না, উপহাস ছাড়া। মনের আবার রোগ হয় নাকি? এইতো দেখা যাচ্ছে হাসোজ্জল ছেলেটা, ছবিতেও তা টের পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে অসুখটা কোথায়?
আসলেও তো! অসুখটা কোথায়?
সজীবের সাথে পরিচয় ভার্সিটিতে৷ ভার্সিটির ছোট ভাই! পরিচয় গাঢ়ো হয় নানান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আপু বলতে গিয়ে দাতের ফাকা দিয়ে বাতাস বের হওয়ায় শোনা যেত আফু!
এই আফু ডাকা সজীবটারে আমার তেমন পছন্দ ছিলো না। মনে হতো বেয়াদব কিসিমের। সামনে আসলে ভ্রু কুচকায় কথা বলতাম। তাও সে চা নিয়ে আসতো, আফু বলে ডাকতো!
আজ প্রথমবারের মতো আমি ওর প্রতি নরম। কিন্তু আফসোস যে এই নরম টা সজিব জানতেও পারলো না, দেখতেই পারলোনা।
মনের ভেতর নানান যন্ত্রনা জমায় নিয়ে ঘরের ফ্যানে ঝুলে আত্নহত্যা করেছে সে। আসলে সে না, আত্নহত্যা করেছে তার সকল না বলা কথাগুলো, সকল যন্ত্রনাগুলো; আর মুক্তি পেয়েছে 'সে'।
সজীবটার একটা ছবি টাংগিয়ে হাজারো শব্দ লিখলে হয়তো সে আর ফিরে আসবেনা। কিন্তু সজীবটা যে শিক্ষা দিয়ে গেলো সেটার মাধ্যমে আরো একটা সজীবকে একটু সময় দিতে পারি। দেখা হলে জিজ্ঞেস করতেই পারি, 'আছিস কেমন'?
এই কেমন থাকাটা জীবনে খুব দরকার!
সজীব, কেমন আছিস ভাই?