Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকের মুখে হাসি নেই

মেহেদী হাসান সোহাগ, মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৪ মে ২০১৯, ০২:১৩ PM
আপডেট: ২৪ মে ২০১৯, ০২:১৩ PM

bdmorning Image Preview
ছবিঃ বিডিমর্নিং


মাদারীপুরে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের ফলন অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো হয়েছে। জেলার সর্বত্রই এখন কৃষক ব্যস্ত সময় পার করছে ধান কাটায়। জমি থেকে ধান কাটতে কৃষকরা বিড়ম্বনায়ও পড়ছে। কিছু কিছু এলাকায় কৃষকরা ধান কাটার জন্য কৃষাণ পাচ্ছেনা। বহু কষ্ট করেও যারা ধান কাটাচ্ছে তারা বাজারে ধানের ন্যায্য মূল্যও পাচ্ছে না। বাজারে ধানের দাম কম থাকায় কৃষকের মুখে হাসি নেই। কৃষকরা খুবই হতাশার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছে।

কৃষকের প্রতি মন ধান ঘরে তুলতে খরচ হচ্ছে ছয়শ টাকা থেকে সাতশত টাকা। আর বাজার মূল্য রয়েছে মাত্র সাড়ে চারশ থেকে সাড়ে পাঁচশ টাকা পর্যন্ত।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেল, কৃষকরা এখন খুবই ব্যস্ততার সাথে জমি থেকে বোরো ধান কাটিয়ে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে চলছে বোরো ধান মাড়াই। কৃষক পরিবারের নারী-পুরুষসহ সকল সদস্যই ধান সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত। কিন্তু কৃষকের মুখে হাসি নেই। হতাশা নিয়েই ধান সংগ্রহের কাজ করছেন।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার কালকিনি, রাজৈর, শিবচর ও সদর উপজেলায় স্থানীয় বোরো ধানের আবাদ হয়েছে তিনশ আটান্ন হেক্টর জমিতে। বোরো উফশী আবাদ হয়েছে বত্রিশ হাজার একশ সাত হেক্টর জমিতে। বোরো হাইব্রিড চাষ হয়েছে তিন হাজার দুইশ চৌদ্দ হেক্টর জমিতে। আবাদ বিগত বছরের তুলনায় কিছুটা কম হলেও ধানের ফলন হয়েছে অন্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো।

মস্তফাপুরের কৃষক মোতালেব হাওলাদার বলেন, এ বছর বোরো ধানের ফলন বিগত বছরের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে। কিন্তু ধান কাটার জন্য আমারা কৃষাণ পাচ্ছিনা । দুই-এক জন পাইলেও তাদের দৈনিক তিন বেলা খাবার খাওয়াইয়ে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা দিতে হচ্ছে। যা আমাদের জন্য ব্যয়বহুল।

খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক সেকান্দার আলী বলেন, খুব কষ্ট করে জমি  থেকে ধান বাড়িতে নেয়া হচ্ছে। ধানের ফলন ভালো হলেও দাম কম থাকায় আমরা খুব হতাশার মধ্যে আছি। প্রতি মন ধান উৎপাদনে আমাদের খরচ হয়েছে প্রায় ছয়শ টাকা থেকে সাতশত টাকা। আর বাজার মূল্য রয়েছে মাত্র সাড়ে চারশ থেকে সাড়ে পাঁচশ টাকা পর্যন্ত। সরকার যদি ধানের দাম না বাড়ায় তা হলে আগামীতে কোন কৃষক ধানের আবাদ করবে না। আমরা সাধারন কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য চাই।

মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জি.এম.এ. গফুর বলেন, ধানের ফলন যাতে ভালো হয় সে জন্য আমরা কৃষকদের বিভিন্ন গ্রুপ করে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। এ বছরে জেলার সকল উপজেলাই ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে। আমরা আশা করি এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হবে। কিন্তু বাজারে ধানের দাম কম থাকায় কৃষকরা হতাশার মধ্যে আছেন।

Bootstrap Image Preview