Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

নবাবগঞ্জে একই গ্রামে বালক-বালিকার আত্মহত্যা

সৈয়দ রোকনুজ্জামান, নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৩ মে ২০১৯, ০৯:৪৭ PM
আপডেট: ২৩ মে ২০১৯, ০৯:৪৭ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী


দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে একই গ্রামে পৃথক দুটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার সন্ধায় উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামে বাবু মিয়া (১৫) নামে এক বালক আত্মহত্যা করে।

জানা গেছে, বাবু মিয়া সন্ধ্যায় ইফতারের আগ মূহর্তে গরুর খাবারের জন্য  গ্রামের পূর্ব পাশে জমি থেকে দড়ি নিয়ে খড় আনতে যায়। বাসায় না ফেরায় তাকে খুঁজতে যায় বাড়ির লোকজন। খুঁজতে গিয়ে দেখেন- তার সংঙ্গে থাকা দড়ি দিয়ে সে আম গাছের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুঁলিয়ে আছে।

এমন দৃশ্য দেখে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে লাশটিকে মাটিতে নামিয়ে দেখেন সে মারা গেছে। বাবু মিয়া নলেয়া গ্রামের সিদ্দিক আলির দ্বিতীয় পুত্র।

এদিকে, ওই গ্রামেই আরও একটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার (১৯ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার নলেয়া নামক ওই গ্রামেই  সুমাইয়া খাতুন (১৩) নামে এক অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়। এ হত্যার পেছনের মূল গল্পটা কি তা এখনো কেউই বলতে পারছেন না। তবে ধারনা করা হচ্ছে- সে আত্মহত্যা করেছে।

সুমাইয়া খাতুন উপজেলার হলাইজানা গ্রামের আবু সাইদের মেয়ে এবং নলেয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ার হাবেজা বেগমের নাতি বলে জানা গেছে। সে নানীর বাড়িতে থেকেই পড়াশুনা করতো।

সুমাইয়ার সহপাঠীরা জানান, সুমাইয়াকে নিয়ে আমরা প্রতিদিন প্রাইভেট পড়তে যেতাম। প্রতিদিনের ন্যায় আজও তাকে ডাকতে এসে তাকে গালায় ওড়না পেচানো অবস্থায় ঘরের ধর্নার সাথে ঝুলে থাকতে দেখতে পাই। এক পর্যায়ে আমরা বান্ধবীরা চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ও মেয়েটির নানী।

তারা বলেন, এসে মাটিতে নামিয়ে দেখি সে মারা গেছে। মেয়েটির নানী সকালে সুমাইয়াকে রেখে চুলছেড়া স্থানীয় একটি গার্মেন্সে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।

সে নলেয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। তার মা ঢাকায় গার্মেন্সে চাকরি করেন। সুমাইয়া ভালো ছাত্রী ছিলেন। কি কারণে সে এমন ঘটনা ঘটালো কেই বলতে পারছে না বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রহিম বাদশা।

থানার এসআই প্রভাত চন্দ্র সরকার জানান, এ হত্যার প্রকৃত কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

নবাবগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, লাশ মর্গে পেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই জানা জানা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।

Bootstrap Image Preview