কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই পরিবারে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে উপজেলার সাতানী ইউনিয়নের পুরান বাতাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিতাস থানায় পাল্টা-পাল্টি দুইটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে প্রথমে আহত ধনু মিয়ার ছেলে মোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে তিতাস থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরে জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে অপর আরেকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
দুই পক্ষের আহতরা হলো- মজিবুর রহমান তারু মেম্বার (৬৬), সাতানী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান (২২), অপু সারোয়ার (৩৫), রুমানা আক্তার (২৬), মোঃ ধনু মিয়া (৬৫) ও তার স্ত্রী খোশেদা বেগম (৫০), ছেলে মোঃ ফারুক হোসেন (৩০), তফাজ্জল হোসেন (২৫), মোফাজ্জল হোসেন (২৪) ও তফাজ্জল হোসেনের গর্ভবতী স্ত্রী মৌসুমী (২০)।
অভিযোগে জানা যায়, মজিবুর রহমান তারু মিয়া সিমানার একটি গাছে রং দিতে গেলে তার বড় ভাই ধনু মিয়া বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব বাধে এবং হামলায় ধনু মিয়া আহত হয়।
পরে ছেলেরা এসে ধনু মিয়াকে হাসপাতালে নিতে চাইলে তারু মেম্বারের পরিবারের লোকজন বাধা প্রদান করে। এতে উভয় পরিবারে ফের রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ বাধে। ধনু মিয়ার পরিবারের লোকজন গুরুতর আহতাবস্থায় তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। তাদের মধ্যে গর্ভবতী গৃহবধূ মৌসূমীর অবস্থা আসঙ্কাজনক হলে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়।
অপরদিকে, ফারুক হোসেন (৩৫), মো. তফাজ্জল হোসেন (৩২), মোফাজ্জল হোসেন (২৬), পিতা ধনু মিয়া (৫৬), মোসা. খোরশেদা বেগম (৫০), রুমা আক্তারসহ (২৪) আরও ২/৩ জন অজ্ঞাতনামাসহ একটি অভিযোগ দায়ের করে তিতাস থানায়।
অভিযোগে জানা যায়, রাস্তা নিয়া পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১৮ মে দুপুরে মজিবুর রহমান তারু মেম্বারের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা জিউয়ার রহমানকে একা পেয়ে উল্লিখিত লোকজন হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে। জিয়াউর রহমান বাড়ি থেকে বের হয়ে পুরান বাতাকান্দি গুদারাঘাট ছাত্রলীগের অফিসে যাওয়ার পথে রাস্তায় একা পেয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত করে বিবাদী পক্ষ। বর্তমানে গুরুতর জখম নিয়ে সে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।