Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

মাগফেরাতের ১০ দিনে রোজাদারদের জন্য করণীয়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ মে ২০১৯, ০৮:০২ PM
আপডেট: ১৭ মে ২০১৯, ০৮:০৩ PM

bdmorning Image Preview


শেষ হলো রহমতের ১০ দিন। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মাগফেরাতে ১০ দিনের প্রথম দিন। রোজার মাসের ৩০ দিনকে রহমত, মাগফেরাত ও নাজাত তিন অংশে বিভক্ত করা হয়েছে। রহমতের দশক অর্থাৎ রোজার প্রথম দশদিন ইতোমধ্যে পার হয়েছে। 

মাগফেরাতের দশক ২০ রমজান পর্যন্ত। একুশ রমজান শুরু হবে নাজাতের দশক। এর মধ্য দিয়ে বিদায়ের দিকে দ্রুত এগুতে থাকবে মুমিনদের সিময়াম সাধনার পবিত্র মাস রমজান।

রমজান মাসের মধ্য মাগফেরাতকে মুসলমানদের গুনাহ মাপের জন্য নির্ধারণ করেছেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। কারো কারো মতে, প্রথম দশ রোজা পালনের পর বান্দারা ক্ষমার পাওয়ার যোগ্য হয়ে ওঠেন।

পবিত্র এ রমজানজুড়ে গুনাহগার বান্দাদের ক্ষমা করেন মহান আল্লাহ। তবে মধ্য এ দশকে ক্ষমাপ্রার্থী বান্দাদের ব্যপকভাবে ক্ষমা করেন তিনি। বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনায় সে তথ্য পাওয়া যায়।

হযরত উবাদা ইবনে সামিত (রা.) বলেন, একবার রমজানের কিছু পূর্বে একদিন হযরত মুহাম্মদ (সা.) এরশাদ করলেন, তোমাদের সামনে রমজান আসন্ন। এ মাস অত্যন্ত বরকতের মাস। আল্লাহ তা’য়ালা তোমাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেনএ মাসে। রহমত বর্ষণ করেন এবং গুনাহ মাফ করেন (তাবরানী)।

কোনো কোনো হাদিস থেকে জানা যায়, বরকতময় এ মাসের প্রতিদিন মাছও ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে রোজাদারদের জন্য। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, রমজান উপলক্ষে আমার উম্মতকে এমন পাঁচটি বস্তু দেয়া হয়েছে, যা পূর্ববর্তী উম্মতদের দেয়া হয়নি। রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর নিকট মৃগনাভী থেকেও অধিক পছন্দনীয় এবং জলের মাছ রোজাদারের জন্য ইফতার পর্যন্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে (মুসনাদে আহমদ, বায়হাকী)।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিন অত্যন্ত ক্ষমাশীল। বিভিন্ন উছিলায় বান্দাদের ক্ষমা করতেই চান তিনি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, এবং জেনে রাখ নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’য়ালা অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও পরম সহনশীল (বাকারা: ২৩৫)।

হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হও। আল্লাহর রঙ বা গুণ কি? তা হলো আল্লাহ তা’য়ালার গুণবাচক ৯৯ নাম। এ প্রসঙ্গে হাদিস শরিফে এসেছে, নিশ্চয় আল্লাহ তা’য়ালা নিরানব্বইটি নাম রয়েছে, যারা এগুলো আত্মস্থ করবে; তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে (মুসলিম ও তিরমিযী)।

মহান আল্লাহর নামাবলী আত্মস্থ করার বা ধারণ করার অর্থ হলো সেগুলোর ভাব ও গুণ অর্জন করা এবং সেসব গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য নিজের কাজে কর্মে, আচরণে প্রকাশ করা তথা নিজেকে সেসকল গুণের আধার বা অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলা।

তাই রমজান মাসের মধ্য দশক যেহেতু মাগফেরাত বা ক্ষমার, সুতরাং এই ১০ দিন আমাদের করণীয় হবে আল্লাহপাকের ক্ষমা সংক্রান্ত নামসমূহের জ্ঞান হৃদয়ঙ্গম করে এর ভাব-প্রভাব ও বৈশিষ্ট অর্জন ও অধিকার করে নিজের মধ্যে আত্মস্থ করার চেষ্টা করা এবং আজীবন তার ধারক–বাহক হয়ে তা দান করা বা বিতরণ করা তথা আল্লাহর গুণাবলী নিজের মাধ্যমে তার সৃষ্টির কাছে পৌঁছে দেয়া।

আল্লাহ তা’য়ালার ক্ষমা সুলভ নামগুলো হলো- আল গফিরু (ক্ষমাশীল), আল গফূরু (ক্ষমাময়), আল গফফারু (সর্বাধিক ক্ষমাকারী), আল আফুউ (মার্জনাকারী), আল খফিদু (বিনয় পছন্দকারী), আশ শাকূরু (কৃতজ্ঞ), আল বাররু (সদাচারী), আল হালীমু (সহিষ্ণু), আস সবূরু (ধৈর্যশীল), আত তাওয়াবু (তওবা কবুলকারী) ইত্যাদি। হাদিস শরিফে আছে, অপরাধ স্বীকারকারী নিরপরাধ ব্যক্তির মত (বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযী)।

Bootstrap Image Preview