Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ছাত্র রাজনীতিতে একটা মেয়ে বা ছেলে বিবাহিত হলে ক্ষতি কী?

নাসরিন আক্তার
প্রকাশিত: ১৭ মে ২০১৯, ০৫:২৯ PM
আপডেট: ১৭ মে ২০১৯, ০৫:২৯ PM

bdmorning Image Preview


গত কয়েকদিনে একটা বিষয় লক্ষ করলাম, তা হল সুন্দরী প্রতিযোগিতার সাথে ছাত্র রাজনীতির একটা যায়গায় বিস্ময়কর মিল রয়েছে। দুটো যায়গায়ই বিবাহিতরা নিষিদ্ধ। মানে সোজা কথায় এ দুটো যায়গায় নামতে হলে আপনাকে ভার্জিন থাকতে হবে।

সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নাহয় ধরলাম জয়ী মেয়েটাকে কোটি পুরুষের হৃদয়ের রাণী বানানো হয় এবং নামীদামমী ব্র্যান্ডের পণ্য বিকানোর কাজে ব্যবহার করা হয় কিন্তু ছাত্র রাজনীতিতে একটা মেয়ে বা ছেলে বিবাহিত হলে ক্ষতি কী?

বাংলাদেশে আইন মতে একটা মেয়ের বয়স ১৮ আর ছেলের ২১ হলে তার বিয়ে করার অধিকার আছে। আর বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পার হতে একটা ছেলে বা মেয়ের ২৩/২৪ বছর বা তারও একটু বেশি লেগে যায়। ফলে এখানে বাধাটা আসলে কোথায়। সে তো প্রাপ্তবয়স্ক। একটা ছেলে বা মেয়েকি তাহলে বিয়ের ইচ্ছা হলেও সেটা দমিয়ে রাখবে? বা এই যে ইয়াং ছেলেমেয়েরা, এরা তো প্রাপ্তবয়স্ক। এই বয়সটা তাদের প্রেমেরও বয়স। ফলে সে কি প্রেম করা থেকে নিজেকে জোর করে বিরত রাখবে? কবে সে ছাত্র রাজনীতি থেকে রিটায়ার করবে সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করবে? এটা ভয়ঙ্কর ব্যাপার হয়ে গেলো না? কারণ এই দমিয়ে রাখা তাকে বাধ্য করবে অবৈধ পথে যেতে। আর সেটা কি তাদের জন্য বা সমাজের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে?

আমার কাছে যেটা মনে হয় রাজনৈতিক দলগুলোর এখন এই মান্ধাতার আমলের নিয়মটা নিয়ে ভাবা উচিৎ। একটা ছেলে বা মেয়ে যখন বিয়ে করে তখন সে দায়িত্ববোধকে নতুন করে ভাবতে শেখে। ফলে তার কাছ থেকে আরো বেশি দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করা যাবে। একটা ছেলে বা মেয়ে যখন প্রেমে পড়ে বা কাউকে ভালোবাসে তখন সে তার চারপাশকে এবং অন্য মানুষগুলোকেউ ভালোবসতে শেখে, নতুন করে যগৎটাকে দেখতে শেখে।

যেটা বলতে চাই তা হল আমাদের ছাত্ররাজনীতি করা ভাইবোনেরা প্রেমিক/প্রেমিকা হয়ে উঠুক, তাদের হাতে অস্ত্রের বদলে গোলাপ/বেলী ফুল শোভা পাক, তাদের মন/অন্তরে সহিংসতা/ঘৃণার বদলে ভালোবাসা জেগে উঠুক এবং সেই ভালোবাসার কিছু অংশ ছাত্র সমাজ তথা দেশের মানুষও পাক।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

Bootstrap Image Preview