ঠাকুরগাঁয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের দাঁড় করিয়ে রেখেই আলোচনাসভা শুরু ও শেষ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় হতে বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা শীর্ষক কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদার সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ঠাকুরগাও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।
এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের ভালভাবে পড়াশুনা করার তাগিদ দিয়ে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। দশজন শিক্ষার্থীর বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি তালিকাও নেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের ভুয়সী প্রশংসা করে বলেন, আমাদের উপজেলায় একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন হয়েছে কিন্তু এর ভবনের রং উঠে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম এখনও শুরু হয় নি। তাই তিনি জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আর্কষণ করে ফায়ার সার্ভিসটি স্টেশনটি দ্রুত চালু করার উদ্যোগ নিতে বলেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগমসহ আরও অনেকে।
আলোচনা শেষে শিক্ষাবৃত্তি ও উপকরণ বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম। এ উপজেলায় মোট ৯৩৪ জন নার্সারী থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
তবে, জেলা প্রশাসক অনুষ্ঠান স্থলে আসার সাথে সাথেই পরিষদ হলরুমের গোল টেবিলের মাঝের ফাঁকা স্থানে দশম ও একাদশ শ্রেণীর দশজন করে বিশজন শিক্ষার্থী দুই লাইনে দাঁড়িয়ে যান এবং অজ্ঞাত কারণেই তারা সেখানে আলোচনা সভার সমাপ্তি পর্যন্ত দাঁড়িয়েই থাকেন।
এনিয়ে সভা কক্ষে ও বাইরে অভিভাবকদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা করতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের এভাবে দাঁড় করিয়ে রাখায় কেউ কেউ আবার নিজেদের মধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।