ডাঃ প্রিয়াংকা তালুকদার শান্তা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) পৌর শহরের আলফাত স্কয়ারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোঠের উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ সদস্য ফৌজিয়ারা শাম্মি, জেলা উদিচী সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা কৃষকলীগ নেতা বিন্দু তালুকদার, শিক্ষক নেতা রুহুল আমিন, সাংস্কৃতিককর্মী সামির পল্লব, দেবাশীষ তালুকদার শুভ্র, রুবেল খান প্রমুখ।
গত রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্বশুরবাড়ি সিলেট নগরীর পশ্চিম পাঠানটুলা এলাকার পল্লবীর বাসা থেকে প্রিয়াংকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সিলেট এসএমপির জালালাবাদ থানা পুলিশ ওই দিন দুপুরে নিহতের স্বামী প্রকৌশলী দিবাকর দেব কল্লোল, শ্বশুর সুভাষ চন্দ্র দেব ও শাশুড়ি রত্না রানী দেবকে আটক করে পুলিশ।
প্রিয়াংকার বাবা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানায় তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রিয়াংকা সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার গঙ্গাধরপুর গ্রামের ঋষিকেশ তালুকদারের মেয়ে। তিনি সিলেট পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজের ফিজিওলজি বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। কাব্য নামে তিন বছরের এক শিশু পুত্র রয়েছে প্রিয়াংকার।
উল্লেখ্য, যে প্রায় ৫ বছর পূর্বে সিলেটের পাঠানটুলার সুভাস দেব ও রত্না দাসের ছেলে প্রকৌশলী দিবাকর চন্দ্র দেব কল্লোলের সাথে ডাঃ প্রিয়াংকার প্রণয় সূত্রে বিয়ে হয়েছিল। কাব্য নামে তাদের একটি শিশু পুত্রও রয়েছে।
নিহত প্রিয়াংকার বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না প্রিয়াংকার এবং তাকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক তৈরি করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীরা।