Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অর্থপাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধ করতে হবে: অর্থমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ মে ২০১৯, ০৭:০১ PM
আপডেট: ১৬ মে ২০১৯, ০৭:০১ PM

bdmorning Image Preview


অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশের জনগণের ক্ষতি করে কেউ পার পাবে না। অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী। এজন্য আমদানি-রফতানি করা পণ্য যথাযথভাবে স্ক্যানিংসহ ওভার অ্যান্ড আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থপাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন এ দু’টোই রোধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আমরা আর দুর্নীতি চাই না। অর্থপাচার একটা দুর্নীতি। আর দুর্নীতি হলেই সন্ত্রাসে অর্থায়ন হয়। সুতরাং এ দুই ক্ষেত্রকে রুখতে হবে। এটা বাস্তবায়ন করার জন্য বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কাজ করছে। যেখানে অনিয়ম হবে, সেখানেই বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে দেওয়া হবে। তাদের অনিয়ম দেখার জন্য লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা বিভিন্ন অনিয়ম তদন্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে প্রতিবেদন দেবে। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না।

মুস্তফা কামাল বলেন, অর্থপাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধে শিগগির আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো। এ লক্ষ্যে আমদানি-রফতানির আড়ালে অর্থপাচারকারীদের চিহ্নিত করতে বাস্তবায়নকারী সংস্থা কাজ করছে। আমরা কারও বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু যারা দেশের ক্ষতি করে, জনগণের ক্ষতি করে, তারা পার পাক এটা আমরা চাই না। সবাই ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে। তবে কাউকে অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন করতে দেওয়া হবে না। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।

মন্ত্রী বলেন, এ সংক্রান্ত আইনগুলো অনেক আগেই করা হয়েছে। তবে তখন মানিলন্ডারিং ও টেররিস্ট ফাইনান্সিং বিষয়ে কিছু ছিল না। সুতরাং আইনগুলোর সংস্কার করা হবে।

তিনি বলেন, দেশে অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। তারা বিভিন্নভাবে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে থাকে। এই ফাঁকি রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এজন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। এতে করে আমরা কিছু হলেও রাজস্ব পাবো।

এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থপাচার মূলত হয় ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে। এর বাইরে বড় আকারে মানিলন্ডারিংয়ের ব্যবস্থা নেই। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি-রফতানির মাধ্যমে এবং ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খোলার মধ্য দিয়ে অর্থপাচার হয়। আমদানি-রফতানির মাধ্যমে অর্থপাচার রোধে আমরা শতাভাগ স্ক্যানারের ব্যবস্থা করছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, ওভার প্রাইসিং আর আন্ডার প্রাইসিং রোধে পিএসআই’র আদলে এনবিআরে একটি সেল খোলা হবে। তারা নেটের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পণ্যের দাম জানবে। তারপর তারা রিপোর্ট করবে। ওই দামের চেয়ে ১৯-২০ হলে সমস্যা থাকবে না। তবে বেশি পার্থক্য থাকলে, সেসব পণ্য বাজেয়াপ্ত করা হবে। এখানেই শেষ নয়, এটা পাথর, বালি, ইট-বালু হতে পারে। সেক্ষেত্রে যারা এর সঙ্গে জড়িত থাকবে, এখন তাদের একটা শুধুমাত্র জরিমানা করা হয়, আগামীতে জরিমানা করার পাশাপাশি আইন অনুযায়ী মামলা করা হবে।

এদিকে, এ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক বছরে তিনটা হতো। এখন থেকে চারটা বৈঠক হবে। বৈঠকে পর্যালোচনা হবে এবং সিদ্ধান্তগুলো কতোটা বাস্তবায়ন হচ্ছে তার আলোচনা হবে।

Bootstrap Image Preview