চলতি বছর জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৯৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ হার নির্ধারণ করা হয়।
সামর্থ্য অনুযায়ী গম বা আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির বা যবের যেকোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা যাবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান। তিনি জানান, ৪২ টাকা দরে আটার বাজার মূল্য অনুযায়ী ফিতরার সর্বনিম্ন হার নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় বলা হয়, ইসলামি শরিয়া মতে, আটা, খেজুর, কিশমিশ, পনির ও যব-এসব পণ্যের যেকোনো একটি দ্বারা ফিতরা দেওয়া যায়। ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম গম বা আটা অথবা খেজুর, কিশমিশ, পনির বা যবের মধ্যে সামর্থ্য অনুযায়ী যেকোনো একটি পণ্যের ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা যায়।
আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬শ’ ৫০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ৭০(সত্তর) টাকা প্রদানকরতে হবে। যব দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ৫০০ (পাঁচশত) টাকা, কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১৩২০ (এক হাজার তিনশত বিশ) টাকা, খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১৬৫০ (এক হাজার ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা ও পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১৯৮০ (এক হাজার নয়শত আশি) টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।
সভায় আরও বলা হয়, দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিশমিশ ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজারমূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এসব পণ্যের যেকোনো একটি পণ্য বা এর বাজারমূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে। পণ্যগুলোর স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।
এর আগে গত বছর জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছিল।