Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শক্তির হুশিয়ারি শ্রীলংকার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০১৯, ১০:৪৩ AM
আপডেট: ১৫ মে ২০১৯, ১০:৪৩ AM

bdmorning Image Preview


শ্রীলংকায় চলমান মুসলমান-বিরোধী দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে জারিকৃত কারফিউ সত্ত্বেও সোমবার সেখানকার মসজিদ ও দোকানে হামলা থামানো যায়নি। এদিন এক মুসলমান ব্যক্তি হত্যার শিকারও হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছে শ্রীলংকা সরকার। বলা হয়েছে, দাঙ্গা রুখতে প্রয়োজনে সব কিছু করবে সরকার। 

সোমবার এসব ঘটনার সময় পুলিশ উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে লক্ষ্য করে কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে। পরে কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে রাতব্যাপী কারফিউ জারি করে।

এমন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শ্রীলংকা সরকার। চলমান মুসলিমবিরোধী সংঘাত থামানোর অঙ্গীকারের কথা জানাতে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র এবং পুলিশ প্রধান এমন আভাস দিয়েছেন।

দ্বিতীয় রাতের মতো কারফিউ অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। খবর রয়টার্সের। খ্রিস্টানদের ইস্টার সানডের দিন জঙ্গিদের আত্মঘাতী বোমা হামলার পর দ্বীপদেশটিতে এটাই সবচেয়ে বড় দাঙ্গা।

উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের মারাউয়িলি হাসপাতাল থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ছুরিকাহত ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার মৃত্যু হয়।

নিহতের নাম মোহাম্মদ আমীর মোহাম্মদ সালি বলে জানা গেছে। উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের মুসলিম অধ্যুষিত অংশগুলোর বাসিন্দারা জানান, উচ্ছৃঙ্খল জনতা দ্বিতীয় দিনের মতো মসজিদগুলোতে হামলা চালিয়েছে।

তাদের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তছনছ করেছে। প্রতিহিংসার আশঙ্কায় পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে কোট্টামপিটিয়া এলাকার এক বাসিন্দা টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেছেন, কয়েকশ’ দাঙ্গাকারী ছিল, পুলিশ ও সেনাবাহিনী

শুধু দেখছিল। তারা আমাদের মসজিদগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে এবং মুসলিমদের মালিকানাধীন বহু দোকান গুঁড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ দেশজুড়ে রাত ৯টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে বলে মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকেরা জানিয়েছেন।

Bootstrap Image Preview