রায়হান মিয়া (৩৫) ও তার স্ত্রী নিলুফা বেগম (২৮) দুইজনই চোখে দেখেন না। সংসার চলে ভিক্ষা করে। তাদের ঘরে আছে দুই মেয়ে। রেহেনার বয়স পাঁচ, আর্জিনার সাড়ে তিন বছর। থাকেন রংপুর নগরীর এরশাদনগর এলাকায়।
গত শুক্রবার বিকেলে আর্জিনা চুরি হয়ে যায়। চুরি যে করেছিল তিনিও পেশায় একজন ভিক্ষুক।
গত রবিবার দুপুরে মিঠাপুকুর উপজেলার ভাংনি ইউনিয়নের জগনান্দপুর এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী। আর পুলিশে দেওয়া হয়েছে অভিযুক্ত সুরভি বেগমকে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার কয়েক দিন আগে ভিক্ষুক রায়হানের সঙ্গে ধর্ম-ভাইয়ের সম্পর্ক গড়ে তোলে সুরভি বেগম। ঘটনার দিন বিকেলে সুযোগ বুঝে সে আর্জিনাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। রায়হান-নিলুফা দম্পতি অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েকে পাচ্ছিলেন না। এর মধ্যে রবিবার দুপুরে সুরভি বেগমকে আটক করা হয়।
সুরভি বেগম জগনান্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। সে রংপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষা করে। ভিক্ষা করার সূত্র ধরেই রায়হানের সঙ্গে পরিচয় তার।
স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানি সুরভির একটি বড় ছেলে রয়েছে। কিন্তু রবিবার সকালে তার ঘর থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পেয়ে লোকজন আমাকে খবর দেয়। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করি এবং শিশুটির মা-বাবাকে খবর দেই। পরে পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়।’
তাজহাট থানার ওসি শেখ রোকোনুজ্জামান বলেন, শিশুটি বর্তমানে মা-বাবার কাছে রয়েছে।