হোয়াটসঅ্যাপের নিরাপত্তা ত্রুটি কাজে লাগিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে হ্যাকাররা। এ আক্রমণে মোবাইল ফোন ও অন্যান্য যন্ত্রে নজরদারির সফটওয়্যার দূরে থেকেই বসানো হয়েছিল বলে জানায় হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। এর ফলে ১৫০ কোটি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী নজরদারির ঝুঁকিতে পড়েছে।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ফেসবুকের মালিকানাধীন বার্তা আদানপ্রদানের অ্যাপটি উপমহাদেশসহ সারাবিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়। মাসখানেক আগে এ আক্রমণের বিষয়টি ধরতে পারেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা। গত শুক্রবার সফটওয়্যার নিরাপত্তা ত্রুটি ঠিক করতে সফটওয়্যার প্যাচ মুক্ত করা হয়েছে।
নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। এটি অত্যন্ত দক্ষ ও উন্নত প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন হ্যাকারদের কাজ বলে ধারণা করা হচ্ছে। হ্যাকাররা হোয়াটসঅ্যাপের ভয়েস কলের ফাংশন কাজে লাগিয়ে নজরদারির সফটওয়্যার ডিভাইসে ইনস্টল করানোর পদ্ধতি বের করে। হ্যাকাররা হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়ে এটি ইনস্টল করালেও ডিভাইসের কল লগে এ সংক্রান্ত তথ্য থাকে না।
হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ বলেছেন, তাদের নিরাপত্তা দল এ মাসের শুরুতে নিরাপত্তা ত্রুটি খুঁজে পাওয়ার পর তা মানবাধিকার গ্রুপ, নিরাপত্তা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগকে অবহিত করে। এর পেছনে ইসরায়েলের এনএসও গ্রুপ থাকতে পারে বলে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়। ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠানটি আগে ‘সাইবার অস্ত্রের ডিলার’ হিসেবে পরিচিত ছিল। তাদের তৈরি পেগাসাস নামের সফটওয়্যার নির্দিষ্ট ডিভাইস থেকে স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।