জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ৫ বছর বয়সী কোমলমতি এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী আওয়াল (৩০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১২ মে) রাতে উপজেলার আওলাই ইউপির সন্তাদিঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে বখাটে পালাতক। বখাটে আওয়াল সন্তাদিঘর গ্রামের ছফির উদ্দিনের ছেলে।
এ বিষয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিশুটির জানান, শনিবার সন্ধ্যায় আমি ও আমার স্ত্রী বাড়িতে কাজ করছিলাম। এ সময় আমার মেয়ে এসে আমাকে বলে আওয়াল ভাইয়া আমাক ডাকছে বলে চলে যায়। তার কিছুক্ষণ পরে আমার মেয়ে চিৎকার শোনে আমরা ছুটে গিয়ে আওয়ালের বাড়িতে দেখি- আমার মেয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় আছে আর কান্নাকাটি করছে আর আওয়াল ঘরে লুকিয়ে আছে।
পরে ঘরের দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে আমার স্ত্রী তার গালে থাপ্পর মারে। পরে বিষয়টি আমি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানায়। আমি মূর্খ মানুষ, থানা পুলিশ বুঝি না। আমি এর বিচার চাই।
প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী বলেন, আমি সন্ধ্যায় বাহিরে আসার সময় শিশুটি আম্মু আমাকে বাঁচাও, আব্বু আমাকে বাঁচাও বলে চিৎকার দিচ্ছিল। তখন আমি আওয়ালের বাড়িতে গিয়ে দেখি শিশুটি খারাপ অবস্থায় মাঁটিতে ছুঁয়ে আছে। এ দিকে লোকজন একত্রিত হয়ে বখাটে ঘরে গিয়ে লুকায়। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে নিয়ে চাঁনপাড়া বাজারে আফসার নামে এক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটির অবস্থা দেখে তাকে জয়পুরহাট আধুনিক সদর হাসপাতালে নিতে বলেন ওই চিকিৎসক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আহম্মেদ আলী জানান, ঘটনার পর শিশুটির ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ দিকে মেয়ের নানি মোনায়ারা বেগম জানান, রাতে আমার মেয়ে আমাকে ফোন করে বলে যে আমার নাতিনী খুব অসুস্থ্য, তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখি এই ঘটনা। আমি এর বিচার চাই।
এক প্রতিবেশী বলেন, রাতে আমি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে দেখি শিশুটিকে নিয়ে তার মা হাসপাতালে যাচ্ছে। আমি জিজ্ঞাসা করলে বলে অসুস্থ্য হয়েছে। বিষয়টি সন্দেহ মনে হলে আমি আওয়ালের বাড়িতে গিয়ে জানতে পারি, আওয়াল শিশুটিকে নির্যাত করেছে।
তবে বিষয়টি জানা নেই বলে জানান পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান।