Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

সামান্য পানি বৃদ্ধিতেই ১২ কোটি টাকার বাঁধ নদীতে!

রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২ মে ২০১৯, ০৬:২২ PM
আপডেট: ১২ মে ২০১৯, ০৬:২২ PM

bdmorning Image Preview


বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের কৈয়াগাড়ি-বরইতলি যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে অসময়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে ৩ বছর আগে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্য প্রকল্পটি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে।

রবিবার (১২ মে) ভোর ৪টার দিকে ভাঙন শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত কৈয়াগাড়ি-বরইতলি ঘাট এলাকায় ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ৩ স্থানে প্রায় ১০০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অব্যাহত ভাঙনের ফলে যমুনা পাড়ের মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে তীরবর্তি গ্রামের বাড়িঘর, আবাদি জমিসহ অবকাঠামো নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এই ভাঙন ঠেকাতে ২০১১ সালে যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ হাতে নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

ওই প্রকল্পের আওতায় ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে কৈয়াগাড়ি-বরইতলি গ্রামের সামনে ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্য তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ করা হয়। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা।

সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর পাড় স্লোপ করে তার উপর জিও চট বিছানো হয়েছে। সেই জিও চটের উপর সিসি ব্লক প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। এ অবস্থায় রবিবার ভোরে হঠাৎ করেই প্রকল্প এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভয়াবহ ভাঙন ধেয়ে আসছে যমুনা পাড়ের দিকে। এতে চরের আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। যমুনা পাড়ের বসতবাড়ি থেকে ভাঙন স্থানের দূরত্ব প্রায় ৫০ মিটার। এ কারনে যমুনা পাড়ের মানুষের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে যমুনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। অসময়ে কিছুটা পানি বৃদ্ধির সাথে স্রোতের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে পানিতে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

জরুরীভাবে মেরামত না করা হলে পানির প্রবল স্রোতে প্রকল্পের পুরোটাই নদীতে বিলীন হবে। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙনের ঝুকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারি প্রকৌশলী আসাদুল হক বলেন, নদী ভাঙনের বিষয়টি কেউ অবগত করেনি। তারপরও খোঁজ-খবর নিয়ে প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্থ অংশে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর ব্যবস্থা করা হবে।

Bootstrap Image Preview