Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

নেত্রকোনায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের রান্না-খাওয়া চলছে খোলা আকাশের নীচে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ মে ২০১৯, ০২:১৬ PM
আপডেট: ১০ মে ২০১৯, ০২:১৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


নেত্রকোনার আটপাড়ায় ফণী প্রভাবে হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই বসবাস করছেন খোলা আকাশের নীচে। রান্না-খাওয়াও চলছে খোলা আকাশের নিচে। এখনো বিদ্যুৎ সংযোগও রযেছে বিচ্ছিন্ন। কবে আসবে তা বলা যচ্ছে না।

এমন অবস্থায় এই রমজানে বিপাকে ক্ষতিগ্রস্তরা। দুদিন ধরেই চলছে তালিকা প্রস্তুতের কাজ। সরকারি কর্মকর্তাদের ঢিমেতালে খোঁজ নেওয়ায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা। তবে সড়কের ওপর পড়ে থাকা গাছ সরিয়ে নেওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ফিরে এসেছে আগের পর্যায়ে।

জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তারা তালিকা তৈরির কাজ করছেন। শনিবার নাগাদ তালিকা তৈরি সম্পন্ন হবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। 

এদিকে গত বুধবার রাতে হঠাৎ কাল বৈশাখী ঝড় বয়ে যায় নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে। এতে করে ইউনিয়নটির ১২টি গ্রামের অসংখ্য গাছপালাসহ কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মোস্তফাপুর, হরিপুর, আড়াগাও, ভাবানিপুরসহ এ সকল বিধ্বস্ত এলাকার অনেক ক্ষত্রিগ্রস্ত পরিবার এখন খাওয়া-দাওয়াসহ সব কিছুই তাদের খোলা আকাশের নীচে। এখনও পৌঁছেনি কারো কাছে কোনও সহায়তা।

তবে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার জানান, আগামীকাল সকাল নাগাদ তালিকা প্রস্তুত হয়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেয়া শুরু হবে। আনুমানিক হাজার খানেক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

এদিকে আটপাড়া ইউএনও কার্যালয়ের ক্লার্ক আনিসুর রহমানের বরাত দিয়ে জানা গেছে, স্বরমুশিয়া ও তেলিগাতী দুটি ইউনিয়নের ১৬০টি পবিবার ক্ষগ্রিস্ত হয়েছে। তবে আরও বাকি রয়েছে বেশ ক’টি গ্রামের তথ্য নেওয়ার।

এদিকে দুপুরে উপজেলার কোনাপাড়াসহ বেশ কিছু গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন স্থানীয় এমপি অসীম কুমার উকিল।

এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সম্পন্ন হলে সরকারি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।

Bootstrap Image Preview