ছাতকের দোলারবাজার ইউনিয়নের বারগোপি গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে একটি পরিবার নিঃস্ব হতে চলেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গ্রামের আকবর আলীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন একই বাড়ির বাসিন্দা ইমাদ উদ্দিন, মাসুম আহমদ, নুর উদ্দিন ও তাদের পরিবার।
আকবর আলীর দায়েরি একটি মামলায় ১ দিন জেলহাজতেও ছিলেন, তাহির আলীর পুত্র মাসুম ও ইমাদ উদ্দিন।
বর্তমানে আকবর আলী, তার স্ত্রী আলেয়া বেগম, মেয়ে তাজমীন বেগম, তানজুম বেগম, হুমায়রা বেগম ও তায়িবা বেগমের হুমকি-ধামকির কারণে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন ইমাদ উদ্দিনের পরিবারের লোকজন। কলেজ পড়ুয়া তার ভাই নুর উদ্দিন চলমান এইচএসসি পরিক্ষায় অংশ নিয়েছে বোনের বাড়ি থেকে। আকবর আলী তার মেয়েদেরকে দিয়ে মামলা করিয়ে ইমাদ উদ্দিনের পরিবারকে নিঃস্ব করে ছাড়বে বলে অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে আকবর আলীর ভাগিনা কামাল ও তার আত্মীয় সুহেল মিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। মেয়েলি সংক্রান্ত এ মামলায় শুধু মাত্র হয়রানির উদ্দেশ্যে মাসুম আহমদকেও আসামি করা হয়েছে। তার মেয়েরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছেনা মামলায় উল্লেখ করে এবং একটি পত্রিকায়ও এরূপ সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে।
ছাতক থানা পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে আকবর আলীর দায়েরি (জিআর ২৩৩) মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার চুড়ান্ত রিপোর্ট (নং ২৩/১৮) প্রদান করেছে। এরপরও থেমে নেই আকবর আলী। ইমাদ উদ্দিন, নুর উদ্দিনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় আরো একটি মামলা (নং ৩১) দায়ের করেছে। গত ১৪ এপ্রিল তারিখের একটি মিমাংশিত ঘটনা নিয়েও থানায় অভিযোগ দিয়েছে আকবর আলী।
উভয়পক্ষের হাতাহাতির ঘটনার বিষয়টি ২২ এপ্রিল সালিশ বৈঠকে নিষ্পত্তি করা হয়। বৈঠকে ইউপি সদস্যসহ খাদিমুল ইসলাম, আসিকুর রহমান, জামাল মিয়া, মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আকবর আলীর মেয়েরা কলেজ-মাদ্রাসায় যেতে পারছে না তার এমন অভিযোগের কোন সত্যতা নেই বলে জানিয়েছেন সালিশ বৈঠকের লোকজন। গ্রামের মৃত তাহির আলীর পুত্র কলেজ পড়ুয়া নুর উদ্দিন তার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে গত ৩০ এপ্রিল ছাতক থানায় প্রতিপক্ষের আকবর আলী তার স্ত্রী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে একটি জিডি করেছে।